আয়ারল্যান্ড সেদিন দেখেছিল ব্যাটসম্যান মাশরাফিকে
ইনিংসের শেষপর্যায়ে মাঠে নেমে প্রায়ই দু-একটা চার-ছয় মেরে বসেন মাশরাফি। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠতে পেরেছে খুব কম সময়ই। ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ প্রধান জায়গাটা এখনো সেই ক্ষুরধার বোলিং। তবে ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে সত্যিই ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছিলেন মাশরাফি। খেলেছিলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস।
২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড দেখেছিল সেই ব্যাটসম্যান মাশরাফিকে। এবারের বিশ্বকাপে আবারও আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে অনেকের মনেই হয়তো ভেসে উঠতে পারে সেই ম্যাচে মাশরাফির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের স্মৃতি।
ট্রেন্ট ব্রিজের সেই ম্যাচে মাশরাফি ব্যাট হাতে উইকেটে এসেছিলেন ১৬তম ওভারে। বাংলাদেশ তখন ধুঁকছিল ছয় উইকেট হারিয়ে। স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল ৯০ রান। পরের ওভারে মুশফিকুর রহিমও ফিরে গিয়েছিলেন ১৪ রান করে। দলের ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন মাশরাফি। খেলেছিলেন ১৬ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। মেরেছিলেন দুটি ছয় ও একটি চার। এর মধ্যে ২০ রানই নিয়েছিলেন শেষ ওভার থেকে। মাশরাফির পর দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল তামিম ইকবালের (২২ রান)। শেষ মুহূর্তে মাশরাফির এই দারুণ ব্যাটিংয়ের সুবাদেই বাংলাদেশ পেয়েছিল ১৩৭ রানের পুঁজি।
শুধু ব্যাট হাতে না, বল হাতেও দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন মাশরাফি। চার ওভার বল করে ৩০ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন দুটি উইকেট। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচটির কথা স্মরণ করলে হয়তো আনন্দের চেয়ে কষ্টই বেশি পাবেন মাশরাফি। তাঁর দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ৬ উইকেটে হারের ফলে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল লাল-সবুজের দল।
এই হারের ‘প্রতিশোধও’ অবশ্য বাংলাদেশ নিয়ে ফেলেছে অনেক আগে। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করেছিলেন মাশরাফিরা। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ এখনো পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। বাছাইপর্বের ম্যাচে সেই আক্ষেপ হয়তো আজই দূর করে ফেলতে পারেন মাশরাফি-সাকিব-তামিমরা।