তাসকিন-সানির বিকল্প শহীদ-সাকলাইন
পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আম্পায়াররা নেদাল্যান্ডসের বিপক্ষে গত ম্যাচের দিনই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচের পর বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকেও বিষয়টি অবহিত করেছে আইসিসি। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার চেন্নাইতে পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন আরাফাত সানি। সোমবার যাওয়ার কথা তাসকিনের।
আসরের বাছাই পর্ব উত্তীর্ণ হওয়ার আগে বাংলাদেশ শিবিরে যে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই হতাশা ভুলে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। এই দুই বোলার যদি শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারেন, তাদের বিকল্প বোলারও ঠিক করে রেখেছে বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে একজন পেসার ও একজন স্পিনার ঠিক করে ফেলেছে তারা। তাঁরা হলেন পেসার মোহাম্মদ শহীদ ও বাঁ-হাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব।
যদি শুধু তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে তাঁর জায়গায় যাবেন শহীদ। আর আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ হলে তাঁর জায়গায় যাবেন সাকলাইন। আর শেষ পর্যন্ত যদি তাসকিন-সানি দুজনেরই অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে শহীদ ও সাকলাইন দুজনেই দ্রুত ভারতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
অবশ্য এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকদিন, দুজনের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষার ফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত। হয়তো সহসাই এই ফল প্রকাশ করবে আইসিসি।
এদিকে বিকল্প দুই বোলারের মধ্যে কারোরই টি-টোয়োন্টি খেলার খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। শহীদ তো টেস্ট বোলার হিসেবে বেশ পরিচিত। এখন পর্যন্ত পাঁচ টেস্ট খেলে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, গত জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে এক উইকেট পেয়েছেন তিনি।
সাকলাইন সজীব এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের খেলার সুযোগ না পেলেও ঘরোয়া আসরগুলোতে বেশ উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছেন। বিশেষ করে গত বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে দারুণ খেলেছেন তিনি। আর চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) দারুণ পারফর্ম করছেন তিনি। আর এই কারণেই নির্বাচকদের দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি।
এদিকে পেস বোলার শফিউল ইসলামের নামও এই তালিকায় রয়েছে। তবে নির্বাচকদের পছন্দ শহীদ ও সালাইনকেই। অবশ্য এই তিন ক্রিকেটারের ভিসা প্রক্রিয়া এগিয়ে রেখেছে বিসিবি।