স্কয়ার ড্রাইভ
ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের হার
এই বিশ্বকাপে আরেকটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার আশা করেছিলাম। শেষ চারে ক্রিকেট বিশ্ব দেখতে পারত আরেকটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ। কিন্তু পাকিস্তানের চরম ব্যর্থতায় সেই আশা পূরণ হলো না। ম্যাচটা যে এতটা একপেশে হবে, তা ভাবতেই পারিনি। আসলে পাকিস্তান দল এমনই। কখনো খুব ভালো খেলে, কখনো বা বাজেভাবে হারে। তাদের নিয়ে আগাম মন্তব্য করা মুশকিল।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়া যোগ্য দল হিসেবেই সেমিফাইনালে উঠেছে। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে পাকিস্তানের এই পরাজয়। ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে দেওয়ায় পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়ার সামনে ‘ফাইটিং টার্গেট’ দিতে পারেনি।
পাকিস্তানের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছে দায়িত্বহীনভাবে। একটি দলের বড় ইনিংস গড়ার জন্য প্রয়োজন কয়েকটি ভালো পার্টনারশিপের। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সে জায়গায় চরম ব্যর্থ।
তারপরও আড়াইশর বেশি রান করতে পারলে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলতে পারত পাকিস্তান। কিন্তু এত অল্প পুঁজি নিয়ে যে কোনো দলের বোলারদের পক্ষেই লড়াই করা খুব কঠিন।
যদিও ৫৯ রানে তিন উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলতে পেরেছিল পাকিস্তান। দুটি ক্যাচ মিস না হলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতে পারত। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে শেষ চারের আগেই বিদায় নিতে হয়েছে ১৯৯২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের।
শনিবার শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড ফেভারিট। বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে বলে তাদের এগিয়ে রাখতে চাই।
তবে ক্রিস গেইল জ্বলে উঠলে ক্যারিবীয়রাও জিততে পারে। গেইল এমন একজন ব্যাটসম্যান যে একাই খেলার চেহারা পাল্টে দিতে পারে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।