তাসকিন-সানিকে নিয়ে আইসিসির ব্যাখ্যা
আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন যে অবৈধ, তা আগেই জানা গিয়েছিল। বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল তাসকিন আহমেদের অ্যাকশন বৈধ না অবৈধ, তা নিয়ে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রথমে প্রকাশিত হয়েছিল যে, তাসকিন সফলভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছেন আইসিসির পরীক্ষায়। কিন্তু পরে দেখা যায় যে, সানির মতো তাসকিনকেও অবৈধ ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। বাংলাদেশের এই দুই বোলারের অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করার পেছনে একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছে আইসিসি।
ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী বল ডেলিভারি দেওয়ার সময় কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকানো যায় না। কিন্তু তাসকিন ও সানি দুজনের কনুই-ই নাকি সেই সীমা অতিক্রম করে গেছে।
আইসিসি বলেছে, আরাফাত সানির বেশির ভাগ ডেলিভারির সময়ই কনুই বেঁকে গেছে ১৫ ডিগ্রির বেশি। আর তাসকিনের কিছু ডেলিভারি বৈধ হলেও কিছু ক্ষেত্রে তাঁর কনুইও ১৫ ডিগ্রির বেশি বেঁকে গেছে।
এখন বোলিং অ্যাকশন শুধরে না নেওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরেই থাকতে হবে তাসকিন ও সানিকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আর খেলতে পারবেন না এই দুই বোলার। আইসিসির অনুমোদিত পরীক্ষাগারে পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারলেই কেবল তাঁরা ফিরতে পারবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
তবে বিসিবির অনুমোদন সাপেক্ষে তাসকিন ও সানি বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে খেলতে পারবেন বলে জানিয়েছে আইসিসি।
গত ৯ মার্চ ধর্মশালায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের পরই সানি ও তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন আম্পায়াররা। ১২ মার্চ চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন সানি। তাসকিন পরীক্ষাগারে গিয়েছিলেন ১৫ মার্চ।
তাসকিন ও সানির পরিবর্তে এখন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে ডাকা হয়েছে সাকলায়েন সজীব ও শুভাগত হোমকে।