গাপটিলের দ্বিশতকে নিউজিল্যান্ডের ‘রান-পাহাড়’
চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে রেকর্ডগড়া ডাবল সেঞ্চুরি করে নিউজিল্যান্ডকে রানের ‘পাহাড়ে’ তুলে দিয়েছেন মার্টিন গাপটিল। এই ডানহাতি ওপেনারের ১৬৩ বলে অপরাজিত ২৩৭ রানের অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯৪ রানের কঠিন লক্ষ্য দিয়েছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা।
শনিবার ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জ্বলে উঠতে পারেননি অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ফিরে গেছেন মাত্র ১২ রান করে। আর কেউ ফিফটিও করতে পারেননি। তবে গাপটিলের ব্যাটের তাণ্ডবেই উড়ে গেছে ক্যারিবীয়রা। বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটা সাজানো ছিল ১১টি ছক্কা ও ২৪টি চারে। ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টে আগের সেরা ইনিংসের জন্ম এই বিশ্বকাপেই। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ পর্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৫ রান করে বিশ্বকাপে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল।
ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের তালিকায় এখন গাপটিলের নাম দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর আগে আছেন শুধু ভারতের রোহিত শর্মা (২৬৪)। রোহিত অবশ্য আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরি (২০৯) করেছেন। ওয়ানডেতে এই বিরল কীর্তি আছে আর মাত্র দুজনের- ভারতের ব্যাটিং-কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার (২০০) এবং তাঁর দীর্ঘ দিনের সতীর্থ বীরেন্দর শেবাগের (২১৯)।
পঞ্চম ওভারে ম্যাককালামকে আউট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভালো সূচনা এনে দেন পেসার জেরম টেলর। দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামলে ওঠেন কেইন উইলিয়ামসন ও গাপটিল। ষোড়শ ওভারের শেষ বলে এই জুটি ভেঙে দেন আন্দ্রে রাসেল, ৩৫ বলে ৩৩ রান করে গেইলের হাতে ক্যাচ দেন উইলিয়ামসন। এরপর শুধু গাপটিল ‘মহাকাব্য’। নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৪০০ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান রস টেলরের।
এই তথ্যেই পরিষ্কার, কতটা ‘গাপটিলময়’ ছিল কিউইদের ব্যাটিং।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩৯৩/৬ (গাপটিল ২৩৭*, ম্যাককালাম ১২, উইলিয়ামসন ৩৩, টেলর ৪২, অ্যান্ডারসন ১৫, এলিয়ট ২৭, রনকি ৯, ভেট্টরি ৮*; টেলর ৩/৭১, রাসেল ২/৯৬)।