অথচ তামিমই সবার ওপরে
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্য খুব একটা নেই বললেই চলে। বলা যায়, ব্যর্থতার পাল্লাটাই ভারী। কিন্তু ব্যক্তিগত সাফল্যে বেশ উজ্জ্বল এই তামিম-সাকিব-মুস্তাফিজরা।
আসরের সুপার টেন থেকে বাংলাদেশ বিদায় নিয়েছে। জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। অথচ সেই দলেরই ওপেনার তামিম ইকবাল এখন পর্যন্ত এই আসরের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান।
ছয় ম্যাচ থেকে ২৯৫ রান করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তার মধ্যে দারুণ একটি শতক ও একটি অর্ধশতক রয়েছে তাঁর। অসুস্থ থাকায় একটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তামিম।
আসরের বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮৩ রানের হার না মানা একটি ইনিংস খেলেছেন তামিম। সেই ইনিংসটি খেলতে তিনি ৫৮টি বল খরচ করেছেন, যাতে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কার মার ছিল।
আর তামিমের শতরানের ইনিংসটি ছিল ওমানের বিপক্ষে বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে। মাত্র ৬৩ বলে ১০৪ রানের ইনিংস তিনি খেলেছিলেন। ১০টি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার ছিল তাঁর সে ইনিংসে।
তবে শেষ পর্যন্ত এই আসরে তামিমকে টপকানো অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে। কারণ অন্যদের সঙ্গে তাঁর পার্থক্য অনেক বেশি। সাত ম্যাচে ১৪৭ রান করে বাংলাদেশের আরেক ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান আছেন চতুর্থ স্থানে।
বল হাতে বেশ উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। সাত ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবির সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। অবশ্য আজ রোববার নবি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে দুই উইকেট পাওয়ায় সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন।
মাত্র তিন ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান আছেন তৃতীয় স্থানে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে এই বাঁহাতি পেসার টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা সাফল্য পেয়েছেন। অবশ্য চোটের কারণে তিনি বাংলাদেশের এর আগের চার ম্যাচে খেলতে পারেননি। তা না হলে সাফল্য আরো বেশি পেতেন তিনি।
অবশ্য এই বিশ্বকাপের আগে বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যর্থতার বৃত্তে ছিলেন সাকিব। তবে এই আসরে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন তিনি। শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাট হাতেও সাফল্য পেয়েছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সাত ম্যাচে ১২৯ রান নিয়ে শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সপ্তম স্থানে আছেন তিনি।
তাই বাংলাদেশ দলীয় সাফল্য না পেলেও ব্যক্তিগত সাফল্য পেয়ে সেই হতাশা কিছুটা হলেও মিটিয়েছে, যা ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা রাখবে।