মাশরাফিদের দীর্ঘ ‘ছুটি’, খেলার চেষ্টায় বিসিবি
গত বছর ঠিক এমন সময় মার্চ-এপ্রিলে বাংলাদেশের সাফল্যের পথচলা শুরু হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায়ও পরবর্তী সময়ে ঘরের মাঠে দারুণ সাফল্য, পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়।
এরপর এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে টপকে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ দল প্রমাণ করেছে তারা এখন আর পিছিয়ে নেই। সফল্যের সঙ্গে দীর্ঘ পথচলার পর হঠাৎ ছন্দপতন। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেন থেকেই বিদায় নিয়েছেন মাশরাফিরা। তাও আবার জিততে পারেনি সুপার টেনের একটি ম্যাচও।
হতাশার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ এবার খানিকটা বিশ্রামে যাবেন মাশরাফি-সাকিব-তামিমরা। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো খেলা নেই।
দিন-তারিখ ঠিক না হলেও আগস্টে একটি টেস্ট খেলতে প্রথমবারের মতো ভারত সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ দল দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজ খেলতে এর আগে কখনোই ভারতে সফরে যেতে পারেনি। এবার দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হচ্ছে মুশফিক-সাকিবদের।
এরপর অক্টোবর-নভেম্বরে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। তারপর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরজ খেলার কথা মাশরাফি-মুশফিকদের।
আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের এই সূচি থাকলেও, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর বাইরেও নিজেদের উদ্যোগে এ বছর আরো কয়েকটি সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করছে। বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, তারা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করছে এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের।
এরপর জুন-জুলাইতে জিম্বাবুয়ে সফরের যাওয়ার এবং সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের একটি পরিকল্পনা নিয়েছে বিসিবি। এফটিপির বাইরের এই সিরিজগুলো নিয়ে বিসিবি এখন জোর চেষ্টা চলাচ্ছে।