ডেথ ওভারের নায়কই এখন ‘খলনায়ক’
তাঁকে বলা হয়ে থাকে ‘ডেথ ওভারের নায়ক’।সাম্প্রতিক সময়ে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইংল্যান্ড বোলার বেন স্টোকস ১৬ থেকে ২০ ওভারের মধ্যে বোলিংয়ে এসে প্রচণ্ড মিতব্যয়ী।এ সময় তাঁর ওভারগুলোতে ডট বলের সংখ্যা থাকে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি।
শেষ ওভারে বল করতে ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগান যখন স্টোকসের হাতে বল তুলে দেন, অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেন, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তিনি। তা ছাড়া শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৯ রান, এই রান টপকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছা সত্যিই অনেক কষ্টকর ব্যাপার ছিল।
তা ছাড়া স্ট্রাইকে ছিলেন কার্লোস ব্রাফেট, যিনি ক্যারিবীয়দের হয়ে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন। তার চেয়ে বড় কথা, আগের দুই ওভারে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিলেন ইংলিশ বোলাররা। সেখানে শেষ ওভারে ১৯ রান করা কঠিনই ছিল।
কিন্তু সবার ধারণা ভুল প্রমাণ করলেন ব্রাফেট। শেষ ওভারের প্রথম চার বলে চারটি ছক্কা মেরে দলকে অবিশ্বাস্য একটি জয় এনে দিয়ে রীতিমতো নায়কে পরিণত হন তিনি।
আর তাই ‘ডেথ ওভারের নায়ক’ স্টোকস হয়ে গেলেন ‘খলনায়ক’! ব্রাফেটের বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখে মাঠেই হতাশায় মুষড়ে পড়তে দেখা গেছে এই ইংলিশ পেসারকে। কলকাতার দুঃসহ এই স্মৃতি হয়তো সারা জীবন তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াবে! আসলেও এই স্মৃতি কোনো দিনও ভোলার নয়।
যেখানে আগের দুই ওভারে বল করে তিনি দিয়েছেন ১৭ রান। আর শেষ ওভারে বল করতে এসে চার বলেই দিয়েছেন ২৪ রান।