কেঁদেও খেলার অনুমতি পাননি শাহাদাত
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে জেলহাজতে যেতে হয়েছিল জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার শাহাদাত হোসেনকে। আর এই কারণে ক্রিকেটেও নিষিদ্ধ তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয় তাঁকে।
আপাতত শাহাদাত জামিনে মুক্ত। তাই চেয়েছিলেন আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে। আগামী ২২ এপ্রিল মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ওয়ানডের সবচেয়ে বড় আসর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে এই আসরে খেলার অনুমতি চেয়েও কোনো লাভ হয়নি। বোর্ড তাঁকে খেলার অনুমতি দেয়নি।
বিসিবি সূত্র জানায়, খেলার অনুমতি পাওয়ার জন্য কয়েকদিন ধরে বিসিবি কর্মকর্তাদের কাছে বেশ ধরনাও দিয়েছিলেন এই ডানহাতি পেসার। কান্নাকাটি করে সুযোগও চেয়েছিলেন খেলতে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আসলে শাহাদাতের বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। আমরা এই বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানতে পারিনি। যে কারণে তাঁর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। যদি আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেন, তাহলে তাঁর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে শরীর ও চোখের নিচে আঘাতের চিহ্নসহ ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী হ্যাপিকে উদ্ধার করেন মিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা। শিশুটির অভিযোগ, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাতের বাসায় গৃহকর্মী ছিল। শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রী তাকে নির্যাতন করেছে।
এরপর মিরপুরের বাসিন্দা সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। পরে শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁরা এখন জামিনে মুক্ত।