নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত মাশরাফি
২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিস্ময়কর উত্থান। অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে দলকে দারুণভাবে বদলে দিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আশানুরূপ সাফল্য না পেলেও এশিয়া কাপে গিয়েছিল ফাইনাল পর্যন্ত। দুর্দান্ত এই সাফল্যগুলোর পর এখন মাশরাফি প্রস্তুত হচ্ছেন নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য। এবার অবশ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নয়, মাশরাফির নতুন মিশন শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে।
২২ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। কাশ্মীরে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরেই মাশরাফি নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। এবারের আসরে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের জার্সি গায়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগে আবাহনী, মোহামেডান, বাংলাদেশ বিমানের মতো বড় বড় ক্লাবে খেললেও কলাবাগানের মতো মাঝারি সারির ক্লাবে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছেন মাশরাফি। আর এই নতুন চ্যালেঞ্জটাই উপভোগ করছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক, ‘আবাহনী-মোহামেডানের মতো বড় ক্লাবগুলোর বাইরে অন্য কোনো ক্লাবে খেলছি বলেই রোমাঞ্চটা বেশি হচ্ছে। বড় ধরনের বাধা পেরিয়ে আসার আনন্দটাও অনেক বেশি থাকে। আর আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তা-ই হচ্ছে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠানে অবশ্য অনেককেই অবাক হতে হয়েছিল। জাতীয় দলের হয়ে দারুণ সফল হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মাশরাফির নামটা ডাকা হয়েছিল অনেক পরে। ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে মাশরাফির পর ডাকা হয়েছিল শুধু সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের নাম। আইপিএলে খেলার জন্য দুজনই ব্যস্ত থাকবেন মে মাস পর্যন্ত। প্লেয়ার ড্রাফটে অনেক পরে নিজের নামটা ডাকতে দেখায় মাশরাফি অবশ্য অপমানিত বোধ করেননি। এটাকে বরং অনুপ্রেরণা হিসেবেই দেখছেন এই ডানহাতি পেসার। সবকিছুর জবাব তিনি মাঠেই দিতে চান, ‘এই জাতীয় ঘটনাগুলো আমাকে সব সময়ই অনুপ্রাণিত করে। বিপিএলের প্রথম নিলামে আমি অবিক্রীত ছিলাম। পরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স আমাকে দলে ভিড়িয়েছিল। আমি এগুলোতে রেগে যাই না। সব সময় চেষ্টা করি মাঠে নিজেকে প্রমাণ করার।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে মাশরাফি খেলেছিলেন মোহামেডানের হয়ে। সেখানে তিনি নিয়েছিলেন ১৮টি উইকেট। ব্যাট হাতে করেছিলেন ২৩৫ রান।