ক্ষমা চাইলেন শাহাদাত
গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীব ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন গত বছর অক্টোবরে। জামিনে মুক্তি পেলেও ঘটনার সুরাহা হয়নি এখনো।
আর ঘটনার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শাহাদাত সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকবেন। তাই গত বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে পারেননি তিনি। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও খেলতে পারছেন না একই কারণে।
বৃহস্পতিবার নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন শাহাদাত। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আজ আমি সামাজিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। এটি আসলে কারো জন্যই কাম্য নয়। আমি এখন অনুতপ্ত। দেশবাসীর কাছে এর জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি বিসিবি সভাপতি, কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের কাছেও ক্ষমা চাইছি এর জন্য।’
নিজের ভুল স্বীকার করে শাহাদাত বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল করে, আমিও ভুল করেছি। এই ভুল শুধরানোর সুযোগ চাই আমি। আপনাদের আগের সেই শাহাদাত হয়ে আবার ক্রিকেটে ফিরতে চাই।’
দেশবাসীর সহায়তা কামনা করে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায় ক্রিকেটে আবার ফেরার সুযোগ চেয়ে শাহাহাত বলেন, ‘ক্রিকেট আমার ধ্যান-জ্ঞান। আর ক্রিকেট খেলাটাই পেশা। আমি বিশ্বাস করি, দেশের ক্রিকেটকে এখনো কিছু দেওয়ার আছে আমার। তাই দেশবাসীর সহায়তা চাই। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই আমি আবার ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ চাই।’
গত বছর সেপ্টেম্বরে শরীর ও চোখের নিচে আঘাতের চিহ্নসহ ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী হ্যাপিকে রাজধানীর মিরপুরে উদ্ধার করেন সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক। শিশুটির অভিযোগ, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী ছিল। শাহাদাত ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাকে নির্যাতন করেছেন। সেদিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
এরপর সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। মামলাটি এখনো বিচারাধীন।