‘পেস বৈচিত্র্যই মুস্তাফিজের সাফল্যের কারণ’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আলোড়ন তোলার পর আইপিএলেও স্বমহিমায় উদ্ভাসিত মুস্তাফিজুর রহমান। ভারতের আকর্ষণীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই তাঁকে নিয়ে মাতামাতি। তার কারণ আর কিছুই নয়, মুস্তাফিজের বলের ‘রহস্যময়তা’। আইপিএলে অনেক বিখ্যাত ব্যাটসম্যানেরই বাংলাদেশের কাটার-মাস্টারের বল খেলতে বা বুঝতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। মুস্তাফিজের ‘রহস্যময়’ বোলিংয়ের পেছনের কারণ আর কেউ বুঝতে না পারুক, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ মুত্তিয়া মুরালিধরন ঠিকই বুঝতে পারছেন। শ্রীলঙ্কার স্পিন-কিংবদন্তির ধারণা, অভিনব গতি বৈচিত্র্যই সাফল্যের পথে এগিয়ে দিচ্ছে এই প্রতিভাবান বাঁ-হাতি পেসারকে।
এবারের আইপিএলে ছয় ম্যাচে সাত উইকেট বা ৬.১৮ ইকোনমি রেট দিয়ে শুধু মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স বিচার করলে ভুল হবে। প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই তাঁর বল বুঝতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। এই তালিকায় রাখতে হবে বিরাট কোহলি আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো দুই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানকেও।
সানরাইজার্স সতীর্থদের প্রিয় ‘ফিজ’-এর এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি মুরালিধরন। কেন মুস্তাফিজ ব্যাটসম্যানদের কাছে দিন দিন দুর্বোধ্য হয়ে উঠছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন সর্বকালের সেরা অফস্পিনার, ‘এটা আসলে বলের গতিতে পরিবর্তন আনার ব্যাপার। স্পিনাররা কেন এত ভালো করে? কারণ তাদের বলের গতি একেবারেই ভিন্ন। মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে বলা যায়, অ্যাকশনে বড় ধরনের পরিবর্তন না এনেই সে স্লোয়ার বল করতে পারে। তার বলের বৈচিত্র্য বুঝতে খুবই অসুবিধা হয় ব্যাটসম্যানদের। এটাই হলো আসল দক্ষতা।’
বোলিং দিয়ে দলের সবার মন জয় করে নিলেও কথা বলতে গেলেই সমস্যা হচ্ছে মুস্তাফিজের। ইংরেজি বা হিন্দি কোনো ভাষাই তেমন বলতে পারেন না তিনি। সেজন্য একজন ব্যক্তিগত দোভাষী নিয়োগ দিয়েছে সানরাইজার্স কর্তৃপক্ষ। হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারসহ বেশ কয়েকজন নাকি বাংলাও শিখছেন তাঁর কাছে। মুরালিধরন অবশ্য ভাষাগত সমস্যা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। সানরাইজার্সের এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে প্রযুক্তি, ‘গুগল ট্রান্সলেটরই সমস্যার সমাধান করেছে। আমরা কী বলি মুস্তাফিজ তা বুঝতে পারে এটা ব্যবহার করে। আর এভাবেই আমরা ওর সঙ্গে যোগাযোগ করি।’