মানবিক সুযোগ পেলেন শাহাদাত
নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে কদিন আগেই দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন। গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় শুধু জেলেই যেতে হয়নি তাঁকে, সব ধরনের ক্রিকেটেও সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হন তিনি।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে খেলার অনুমতি চেয়ে পাননি শাহাদাত। এই ঘটনার সুরাহা হয়নি বলেই বিসিবি তখন খেলার অনুমতি দেয়নি তাঁকে।
শাহাদাতের জন্য সুখবর হলো, ঘরোয়া আসরে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মানবিক কারণেই বিসিবি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শাহাদাত একটা ভুল করেছিল ঠিক। তার মাশুল এখনো দিচ্ছে সে। এর জন্য সে খুবই অনুতপ্ত, দেশবাসীর কাছেও ক্ষমা চেয়েছে। তা ছাড়া বাদীর সঙ্গে সে একটা সমঝোতা করেছে। এসব কিছু বিবেচনা করে আমরা তাঁকে ঘরোয়া আসরে খেলার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানবিক কারণেই তাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
অবশ্য জাতীয় দলে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি শাহাদাতকে। আদালতের পুরোপুরি রায় না আসার আগ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। শুধু সে ঘরোয়া আসরগুলোতে খেলতে পারবে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে শরীর ও চোখের নিচে আঘাতের চিহ্নসহ ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী হ্যাপিকে রাজধানীর মিরপুরে উদ্ধার করেন সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক। শিশুটির অভিযোগ ছিল, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী ছিল। শাহাদাত ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে নির্যাতন করেছেন। সেদিনই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
এরপর সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। মামলাটি এখনো বিচারাধীন।