সাকিবের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত মোহামেডান
শেষপর্যায়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তুলেছিলেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ২৪ বলে করেছিলেন ৫৭ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও জ্বলে উঠেছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। সাকিবের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়ে মোহামেডানের ইনিংস গুটিয়ে গেছে মাত্র ১১১ রানে। ২৬০ রানের বিশাল ব্যবধানের জয় পেয়েছে আবাহনী।
লিটন দাস, দিনেশ কার্তিকের শতক ও সাকিবের ঝড়ো অর্ধশতকে ভর করে আবাহনী গড়েছিল রানের পাহাড়। স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ৩৭১ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্যসীমার ধারেকাছেও যেতে পারেনি মোহামেডান। ২৪.৩ ওভার ব্যাটিং করেই গুটিয়ে গেছে ১১১ রানে। সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন নাঈম ইসলাম। ২৬ রান এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। তৃতীয় উইকেটে নাঈম ও মুশফিক যোগ করেছিলেন ৩৮ রান। এটিই ছিল মোহামেডানের সর্বোচ্চ রানের জুটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায়: ৯৫/৬।
এরপর দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে মোহামেডানকে দ্রুত গুটিয়ে দিয়েছেন সাকিব। টানা তিন ওভারে তুলে নিয়েছেন চারটি উইকেট। সব মিলিয়ে ৬.৩ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। আবাহনীর অন্য দুই স্পিনার সাকলায়েন সজীব ও মোসাদ্দেক হোসেন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে গেছে একটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর ওপেনার লিটন খেলেছেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। ১৮টি চার ও ১টি ছয় মেরে করেছেন ১৩৯ রান। ভারতের ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমেই করেছেন শতক। ৯৭ বল খেলে করেছেন ১০৯ রান। শেষপর্যায়ে ২৪ বলে ৫৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন সাকিব।