আইসিসির হল অব ফেমে মুরালিধরন
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড ও সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। দুই পক্ষের মধ্যে চলছে কথার লড়াই। তবে এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট অঙ্গনকে গর্ব করার মতো এক মুহূর্ত উপহার দিলেন মুরালি। শ্রীলঙ্কার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর নামটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আইসিসির হল অব ফেমে।
ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের অবদান স্মরণ করে ২০০৯ সাল থেকে হল অব ফেমের তালিকা প্রকাশ শুরু করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা ছাড়া সব টেস্টখেলুড়ে দেশের খেলোয়াড়ের নামই অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এই হল অব ফেমে। এ বছর মুরালিধরনকে দিয়ে হল অব ফেমে জায়গা করে নিল শ্রীলঙ্কাও।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড আছে মুরালির দখলে। ১৯৯২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৩৩টি টেস্ট খেলে ৮০০টি উইকেট পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি এই অফস্পিনার। ওয়ানডেতেও সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন মুরালি। ৩৫০টি একদিনের ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৫৩৪ উইকেট।
এ বছর মুরালির সঙ্গে আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়েছেন আরো তিন ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের জর্জ লোম্যান, অস্ট্রেলিয়ার আর্থার মরিস ও অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটার ক্যারেন রোল্টন।
আইসিসির হল অব ফেমে এর আগে দেখা গেছে ব্রায়ান লারা, শেন ওয়ার্ন, ওয়াসিম আকরাম, মার্টিন ক্রো, ফ্রাঙ্ক ওরেল, গ্যারি সোবার্স, ভিভ রিচার্ডস, ডেনিস লিলি, ইয়ান বোথাম, ডন ব্রাডম্যানদের মতো কিংবদন্তিদের। তবে টেস্ট ও ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারী শচীন টেন্ডুলকারের নামটি এখনো আসেনি হল অব ফেমে। ভারতের মাত্র চারজন ক্রিকেটারের নাম দেখা গেছে সেখানে। বিষেন সিং বেদি, কপিল দেব, সুনীল গাভাস্কার ও অনিল কুম্বলে।