ফরাসি জিমন্যাস্টের পা ভেঙে দুই টুকরা!
অলিম্পিকে শুধু বিজয়গাথাই রচিত হয় না, ব্যর্থতার বেদনাতেও পুড়তে হয় অনেককে। তবে সামির আইত সাইদের জীবনে যা ঘটল, তা এক কথায় মর্মান্তিক। পা ভেঙে হাসপাতালে যেতে হয়েছে এই ফরাসি জিমন্যাস্টকে।
শনিবার পুরুষদের দলগত বাছাইপর্বে ভল্ট ইভেন্টে অংশ নিচ্ছিলেন সাইদ। দুটো ব্যাকফ্লিপ দিয়ে মাটিতে নামতে গিয়েই বিপত্তি। সময়ের গণ্ডগোল হওয়ায় বেকায়দায় মাটিতে নেমে আসে বাঁ পা। আর ভেঙে যায় পায়ের হাড়। হাড় ভাঙার শব্দ শোনা গেছেন গ্যালারি থেকেও! দু হাতে মুখ ঢেকে মাটিতে শুয়ে থাকা সাইদ কোনো শব্দ করেননি। কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হয়ে নিজেকে সামলাতে পারেননি অনেক দর্শক। তাঁদের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে বিস্ময়সূচক ধ্বনি।
সঙ্গে সঙ্গে সাইদকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে। স্বস্তির কথা, অস্ত্রোপচারটা সফল। ফরাসি জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রিওতে শনিবার রাতে সামির আইত সাইদের পায়ে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।’ সাইদের সাবেক সতীর্থ হ্যামিল্টন সাবোও টুইটারের মাধ্যমে আশ্বস্ত করেছেন সবাইকে, ‘অস্ত্রোপচার ভালো হয়েছে। আজ (রোববার) সকাল ৬টায় তাঁর ঘুম ভেঙেছে।’
অলিম্পিকের শুরুতেই সাইদকে এমন দুঃখজনক ঘটনায় হারিয়ে ফরাসিরা মর্মাহত। ফ্রান্সের জিমন্যাস্টিকস দলের অধিনায়ক কোরিন মুস্তার্দ-ক্যালন সিএনএনকে বলেছেন, ‘সে ছিল আমাদের দলের অন্যতম বন্ধুভাবাপন্ন সদস্য। সে এখানে এসেছিল পদক জিততে। সেজন্য নিজের ২০০ ভাগ উজাড় করে দিয়েছিল। তার এমন বিদায় দলের জন্য মেনে নেওয়া ভীষণ কঠিন।’
২৬ বছর বয়সী সাইদের জীবনে অলিম্পিক-ট্র্যাজেডি অবশ্য নতুন নয়। চার বছর আগে লন্ডন অলিম্পিকে ডান পায়ের হাড়ে চিড় ধরায় তিনি অংশ নিতে পারেননি। চোটটা পেয়েছিলেন অলিম্পিকের কিছু দিন আগে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে।