অলিম্পিকে ইতিহাস গড়লেন মারে
নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যের কারণে টেনিসের গ্র্যান্ড স্লাম প্রতিযোগিতায় খুব বেশি সাফল্য পাওয়া হয়নি অ্যান্ডি মারের। ২০০৫ সালে পেশাদারি ক্যারিয়ার শুরুর পর জিততে পেরেছেন মাত্র তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। ফাইনালে গিয়ে হতাশ হতে হয়েছে ছয়বার। তবে অলিম্পিকে মারে এমন এক কীর্তি গড়েছেন, যেটা আগে কখনোই দেখা যায়নি টেনিস ইতিহাসে। জিতেছেন টানা দুটি অলিম্পিকের স্বর্ণপদক।
ইনজুরির কারণে অলিম্পিকে অংশই নিতে পারেননি ফেদেরার। টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ খেলোয়াড় জোকোভিচও বড় ধরনের অঘটনের শিকার হয়ে বিদায় নিয়েছিলেন প্রথম রাউন্ড থেকে। সেমিফাইনালে ছিটকে গিয়েছিলেন নাদাল। ফলে ফাইনালে মারে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার হুয়ান-মার্টিন দেল পোত্রোকে। এই পোত্রোর কাছে হেরেই অলিম্পিক থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল জোকোভিচ ও নাদালকে। তবে ফাইনালে আর সাফল্য পাননি ২০০৯ সালের ইউএস ওপেনজয়ী পোত্রো। উত্তেজনাপূর্ণ মারের কাছে হেরে গেছেন ৭-৫, ৪-৬, ৬-২, ৭-৫ গেমে।
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে অংশ নিয়েই একক ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন মারে। সেবার তিনি ফাইনালে হারিয়েছিলেন ফেদেরারকে। চার বছর পর রিও অলিম্পিকেও সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন যুক্তরাজ্যের এই টেনিস তারকা। তবে পোত্রোর বিপক্ষে ম্যাচটি জিততে যে অনেক কষ্ট হয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন মারে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আজ আমি আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম কঠিন একটা ম্যাচ খেলেছি। আমি জানতাম যে, টানা দুটি অলিম্পিকে স্বর্ণ আগে কেউই জিততে পারেননি। এটা খুবই কঠিন একটা কাজ। এখন আমি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সেটা করতে পেরে সত্যিই খুব গর্বিত।’
২০১২ সালের অলিম্পিকে মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টের রৌপ্যপদকও জিতেছিলেন মারে। এবার অবশ্য এ ইভেন্টে আর সফল হতে পারেননি তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেছেন ভারতের রবি বোপানা ও সানিয়া মির্জা জুটির কাছে। পুরুষ দ্বৈত ইভেন্টেও অংশ নিয়েছিলেন মারে। সেখানে ফলাফল আরো হতাশাজনক। বিদায় নিয়েছেন প্রথম রাউন্ড থেকেই।