বাংলাদেশের ব্যর্থতার আরেকটি অলিম্পিক
অলিম্পিকে বাংলাদেশের নাম লেখানো ১৯৮৪ সালে। লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক দিয়েই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞে লাল-সবুজের দেশের সূচনা। সেবার একটি মাত্র ইভেন্টে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। অ্যাথলেটিকসের ১০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিয়ে সাইদুর রহমান ডন অনুমিতভাবেই ব্যর্থ হয়েছিলেন।
ব্যর্থতা দিয়ে সেই যে শুরু, এ নিয়ে নবমবার অংশ নিয়ে সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। চলমান রিও অলিম্পিকে পাঁচটি ডিসিপ্লিনে সাতজন ক্রীড়াবিদ অংশ নেন, কিন্তু দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারেননি কেউই।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এবারের অলিম্পিকে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। তাই কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যর্থদের কাতারে শামিল হয়েছেন দেশসেরা এই গলফারও। এশিয়ান ট্যুরের দুটি শিরোপাজয়ী এই বাংলাদেশি গলফার রিওতে হয়েছেন ৫৫তম।
পুরুষদের অ্যাথলেটিকসের ১০০ মিটার দৌড়ে প্রাক-বাছাইয়ের দুই নম্বর হিটে মেজবাহ আটজনের মধ্যে চতুর্থ হয়েছেন। এই রাউন্ডে মোট ২১ জনের মধ্যে ১৪তম হন তিনি। তাঁর টাইমিং ১১ দশমিক ৩৪ সেকেন্ড।
নারীদের সাঁতারের ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলের হিটে ৮৮ জনের মধ্যে ৬৯তম হন সোনিয়া আক্তার। অবশ্য তাঁর টাইমিং ভালোই ছিল, ২৯ দশমিক ৯৯ সেকেন্ড।
ব্যর্থ হয়েছেন অ্যাথলেট শিরিন আক্তার। অ্যাথলেটিকসে নারীদের ১০০ মিটার দৌড়ে প্রাক-বাছাই হিটেই বাদ পড়েন তিনি। প্রতিযোগিতার এক নম্বর হিটে আট অ্যাথলেটের মধ্যে পঞ্চম হয়েছেন এই বাংলাদেশি। তাঁর টাইমিং ১২ দশমিক ৯৯ সেকেন্ড।
শ্যুটিংয়ের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাইয়ে ২৫তম হয়েছেন আব্দুল্লাহ হেল বাকি। তাঁর স্কোর ৬২১ দশমিক ২। তাই বাছাই থেকেই বাদ পড়েছেন কমনওয়েলথ গেমসে রুপাজয়ী এই বাংলাদেশি শ্যুটার।
প্রতিযোগিতার এলিমিনেশন রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছেন আর্চার শ্যামলী রায়ও। মেক্সিকোর গাব্রিয়েলা বায়ার্দোর কাছে ৬-০ পয়েন্টে হেরে যান তিনি। এর আগে গেমসে তাঁর শুরুটাও ভালো হয়নি। র্যাংকিং রাউন্ডে ৬৪ জনের মধ্যে ৫৩তম হয়েছিলেন তিনি।
পুরুষদের সাঁতারের ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে মাহফিজুর রহমান ব্যর্থ হয়েছেন পাঁচ নম্বর হিটে আটজনের মধ্যে পঞ্চম হয়ে। তা ছাড়া মোট ৮৫ জনের মধ্যে ৫৪তম হয়েছেন এই বাংলাদেশি অ্যাথলেট। তাঁর টাইমিং ২৩ দশমিক ৯২ সেকেন্ড।