স্বর্ণ জিতেই ‘স্বাভাবিক জীবনে’ ফেরার স্বপ্ন
ঠিক এক যুগ আগে ব্রাজিলের হয়ে অলিম্পিক ভলিবলের শিরোপা জিতেছিলেন সার্জিনিয়ো। গত দু্বার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি। এবার ঘরের মাঠে স্বর্ণ জিতেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সার্জিনিয়োর এখন একটাই স্বপ্ন, ‘স্বাভাবিক জীবনে’ ফেরা!
একজন শীর্ষপর্যায়ের খেলোয়াড়কে কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, তা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। স্বর্ণ জয়ের পর সার্জিনিয়োর আবেগঘন বক্তৃতায় তা ফুটে উঠেছে অনেকখানি। রোববার অলিম্পিকের শেষ দিনে ইতালিকে ২৫-২২, ২৮-২৬, ২৬-২৪ পয়েন্টে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে স্বাগতিকরা।
শেষটা সফল হওয়ায় সার্জিনিয়ো আনন্দিত, তৃপ্ত। তিনি বলেছেন, ‘এখন আমার সবচেয়ে বড় কাজ বাসায় যাওয়া আর তারপর বাচ্চাদের স্কুল থেকে নিয়ে আসা। আমি শুধু চাই আমার বাইকে উঠে এখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব চলে যেতে। আমি কারো কাছে কোনোভাবেই ঋণী নই। বাসায় ফিরে আমি শুধু একটা বিয়ার পান করতে চাই। ব্যস, আর কিছু না। আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। বাসায় গিয়ে নিজের বিছানায় ঘুমাব, বন্ধুদের জন্মদিনে যাব, নিজের জীবন যাপন করব। এটাই আমার স্বপ্ন।’
ব্রাজিলকে ফুটবলের স্বর্ণ জিতিয়েই ভলিবল দলকে সমর্থন দিতে চলে এসেছিলেন নেইমার। মারাকাজিনিয়ো অ্যারেনার বিপুল জনসমর্থন তো ছিলই। সবার প্রত্যাশা মেটাতে পেরে দারুণ খুশি ৪০ বছর বয়সী সার্জিনিয়ো। বিদায়বেলায় সতীর্থদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই বিজয় সেই খেলোয়াড়দের যারা অলিম্পিকের স্বর্ণপদক ছাড়া আর সব কিছুই জিতেছে। এটাই আমার শেষ অলিম্পিক। বলা যায় ডাবল অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার শেষ সুযোগ ছিল আমার জন্য। আর এই অর্জনের জন্য ছেলেরা আমাকে দারুণ সাহায্য করেছে। তারা আবারো অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবে। কিন্তু আমি সেই সুযোগ পাব না।’
পুরুষদের ভলিবলে অনেক দিন ধরেই ব্রাজিলের আধিপত্য চলছে। গত চারটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটিরই শিরোপা জিতেছে তারা। গত দুটো অলিম্পিকে অবশ্য ফাইনালে উঠে রুপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকের পর আবার ঘরের মাঠে ভলিবল শিরোপার আনন্দে মেতে উঠেছে তারা।