ভারতের কর্মকর্তাদের দিকে অভিযোগের তীর
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দল নিয়ে অংশ নিলেও রিও অলিম্পিক থেকে ভারতের প্রাপ্তি একটি রুপা ও একটি ব্রোঞ্জ। গতবার ছয়টি পদক আসায় এবার অনেক আশায় বুক বেঁধেছিল ভারতীয়রা। কিন্তু এবারের অলিম্পিক থেকে তাদের অর্জন সামান্যই। রিও ডি জেনিরোতে ব্যর্থতার জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে কর্মকর্তাদের দিকে। তাঁরা নাকি খেলোয়াড়দের তেমন খোঁজ না রেখে সেলফি তোলা আর ঘোরাঘুরিতেই ব্যস্ত ছিলেন বেশি!
ব্যাডমিন্টনে পিভি সিন্ধুর রুপা আর কুস্তিতে সাক্ষী মালিকের ব্রোঞ্জ নিয়ে এবারের অলিম্পিকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ভারতকে। খেলোয়াড়রা যখন লড়াইয়ের ময়দানে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন অনেক কর্মকর্তাকেই তখন দেখা গেছে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াতে।
কর্মকর্তাদের এমন দায়িত্বহীন আচরণে ভীষণ ক্ষুব্ধ সাবেক হকি তারকা আসলাম শের খান। বার্তাসংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের প্রতি কর্মকর্তাদের মনে কোনো দয়ামায়াই ছিল না। তাঁরা সবাই ঘোরাফেরা করে নিজেদের মতো সময় কাটাতেই ব্যস্ত ছিলেন।’ ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ আর ১৯৭৫ সালে কুয়ালালামপুরে বিশ্বকাপ শিরোপাজয়ী শের খান কর্মকর্তাদের একহাত নিতেও ছাড়েননি, ‘আমাদের দেশ পদক জিতল কি জিতল না, তা নিয়ে তাঁদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তাঁদের জন্য সারা পৃথিবীর কাছে দিন দিন হাসির পাত্রে পরিণত হচ্ছি আমরা।’
আট বছর আগে বেইজিং অলিম্পিকে শুটিংয়ে স্বর্ণ জিতেছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। অলিম্পিকে ভারতের একমাত্র ব্যক্তিগত স্বর্ণ বিজয়ীও কর্মকর্তাদের আচরণে বিরক্ত, ‘এ নিয়ে রাগারাগি করে নিজের শরীরের ক্ষতি করতে চাই না। প্রতিবারই এমনটা ঘটে আর এমনটাই ঘটে আসছে। আসলে আমাদের পুরো সিস্টেম খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আমাদের আরো বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। এমনকি সাফল্যের জন্য কোনো রাজনীতিবিদ খেলাধুলায় এলেও আমার আপত্তি নেই।’