খুলনা টেস্ট
টেন্ডুলকারের পাশে মুমিনুল
ওয়ানডে ক্যারিয়ার তেমন আকর্ষণীয় নয়। ২৪ ইনিংসে ২৩.৬০ গড়ে করেছেন ৫৪৩ রান। অর্ধশতক মাত্র তিনটি, সর্বোচ্চ ৬০ রান। কিন্তু এই মুমিনুল হকই ভিন্ন মূর্তি ধারণ করেন সাদা পোশাকে টেস্ট খেলতে নামলে। দুই বছর আগে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া মুমিনুল পরিণত হয়েছেন ‘ধারাবাহিক’ শব্দটির জলজ্যান্ত উদাহরণে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে অর্ধশতক করে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন ২৩ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
urgentPhoto
এ নিয়ে টানা ১০ টেস্টে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেললেন মুমিনুল। এর মধ্যে শতক আছে চারটি। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা ১৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে টেস্ট ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটে টানা ১০ বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচে অন্তত একটি অর্ধশতক করার দুর্দান্ত কীর্তি আছে ছয়জনের। সবচেয়ে বেশি টানা ১২ ম্যাচে এই কীর্তি গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। টানা ১১ ম্যাচে কীর্তিটা আছে ক্যারিবীয় ‘গ্রেট’ ভিভ রিচার্ডস এবং দুই ভারতীয় গৌতম গম্ভীর আর বীরেন্দর শেবাগের। আর টানা ১০ ম্যাচে পঞ্চাশ করে মুমিনুল ছুঁয়ে ফেললেন ভারতের ব্যাটিং-কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার ও ইংল্যান্ডের জন এড্রিখকে।
খুলনায় ত্রয়োদশ টেস্ট খেলছেন মুমিনুল। ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ৫৫ রানের ইনিংস দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন জগতে তাঁর সদর্প আগমন। পরের ম্যাচে আবারও করেন অর্ধশতক। নিজের তৃতীয় টেস্টে অবশ্য ফিফটি পেতে ব্যর্থ। পরের মাসেই মানে ২০১৩ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের দুই ইনিংসে করেছিলেন ২৩ ও ২৯ রান। এরপর থেকে টানা ১০ টেস্টে অন্তত একটি ফিফটি পেলেন তিনি।
খুলনা টেস্টের প্রথম দিনে শেষ মুহূর্তে আউট হওয়া মুমিনুল ২৪ ইনিংসে ৬৩.৯০ গড়ে এক হাজার ২৭৮ রান করেছেন। ফিফটি আটটি, সেঞ্চুরি চারটি। ২৩ বছরের এক ব্যাটসম্যানের জন্য দারুণ পরিসংখ্যানই বটে।