দর্শকদের বিশৃঙ্খলার ম্যাচে ঘানার জয়
আফ্রিকান নেশনস কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল পণ্ডই হতে বসেছিল দর্শকদের বিশৃঙ্খলায়। ৩৪ মিনিট খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন রেফারিরা। শেষপর্যন্ত ইকুয়েটরিয়াল গিনিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে চারবারের শিরোপাজয়ী ঘানা।
প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় ঘানা। পেনাল্টি থেকে গোল করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেননি ঘানার স্ট্রাইকার জর্ডান আয়েউ। কিন্তু বিতর্কিত এই পেনাল্টি মেনে নিতে পারেননি স্বাগতিক গিনির সমর্থকরা। বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত হয় তখনই। ৪৫ মিনিটে আরেকটি গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দেন ঘানার ফরোয়ার্ড মুবারক ওয়াকসো। ৭৮ মিনিটে আরেকটি গোল করে ঘানার জয় নিশ্চিত করে ফেলেন আন্দ্রে আয়েউ।
কিন্তু ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে মুখ্য হয়ে ওঠে গ্যালারির সহিংসতা। ঘানার সমর্থকদের দিকে বিভিন্ন জিনিস ছুঁড়ে মারতে থাকেন গিনির সমর্থকরা। আক্রমণের শিকার হন লাইন্সম্যানও। খেলা শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে মাঠেও নেমে পড়েন গিনির ক্ষুব্ধ কিছু সমর্থক। ফলে খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন রেফারি। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলা এই সহিংসতায় আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের এক কর্মকর্তা, এক পুলিশ ও বেশ কয়েকজন দর্শক আহত হন।
আফ্রিকান নেশনস কাপে অংশগ্রহণের সুযোগ খুব একটা জোটে না ইকুয়েটরিয়ল গিনির। এর আগে ২০১২ সালে তারা প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছিল আয়োজক দেশ হিসেবে। এবারও স্বাগতিক দেশ হিসেবেই সরাসরি মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল মধ্য আফ্রিকার দেশটি। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার পর দলের এই হার যেন মানতেই পারছিলেন না গিনির সমর্থকরা। কিন্তু তাদের এই বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে আফ্রিকান ফুটবলের ভাবমূর্তি যে বেশ ভালোই ক্ষতিগ্রস্ত হলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
৮ ফেব্রুয়ারি শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে আইভরি কোস্ট ও ঘানা।