বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ
দেশের মানুষকে ফাইনালে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মামুনুল ইসলাম। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিকদের জয়ের ব্যবধান ১-০।
আগামী রোববার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচেও এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ডিফেন্ডার নাসির চৌধুরী। ৪০ মিনিটে মামুনুলের কর্নার থেকে তাঁর পায়ের ছোঁয়ায় বল জড়িয়ে যায় জালে। শেষ পর্যন্ত এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ অবশ্য বড় ব্যবধানে জিততে পারত। তবে অনেক সুযোগ নষ্ট করায় এক গোলের জয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
ম্যাচের ২০ মিনিটের সময় এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেনের ব্যাক পাস মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস ও স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলির কেউই নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় নষ্ট হয় সেই সুযোগ।
পাঁচ মিনিট পর আবার স্বাগতিক দলের হতাশা। এবার হেমন্তর লব ধরে মিডফিল্ডার সোহেল রানা দারুণ শট নিলেও প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়।
পরের মিনিটেই রায়হানের থ্রো থেকে এমিলির হেড দক্ষতার সঙ্গে ধরে ফেলেন থাই গোলরক্ষক।
বারবার হতাশ হতে হতে অবশেষে বিরতির মিনিট পাঁচেক আগে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ‘লাল সবুজের দেশ’। নাসিরের লক্ষ্যভেদে উল্লাসে মেতে ওঠে গ্যালারিতে ভিড় করা প্রায় ২৫ হাজার দর্শক।
বিরতির পরও সুযোগ এসেছিল। ৫৪ মিনিটে মামুনুলের জোরালো শট সাইড বার ঘেঁষে বেরিয়ে আবার হতাশ করে বাংলাদেশকে।
৬৪ মিনিটে থাইল্যান্ডের হতাশ হওয়ার পালা। থাই মিডফিল্ডার পার্মপাক পাকর্নের দুর্দান্ত শট বাংলাদেশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও বল ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।
বাকি সময়ে তেমন কিছু করতে পারেনি থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ তাই ভেসে গেছে ফাইনালে ওঠার আনন্দে।