দুর্দান্ত জয়ে সমতায় বাংলাদেশ
প্রথম ম্যাচে হতাশাজনক পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও একসময় ধুঁকছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয়ের আনন্দে বিভোর মাশরাফির দল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৩৪ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। তিন ম্যাচের সিরিজে তাই এখন ১-১ সমতা। আগামী বুধবার চট্টগ্রামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
বাংলাদেশের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর বল হাতেও জ্বলে উঠে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। শুরুতেই তিন উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।
২৬ রানে চার উইকেট হারানোর পর দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো। বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙার কৃতিত্ব তাসকিন আহমেদের। এরপর মইন আলীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন নাসির হোসেন। আর বাটলারের মূল্যবান উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেশ সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। তবে মাশরাফি-সাকিবের দুর্দান্ত বোলিং শুরুতেই সাফল্য এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাশরাফির বলে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ধরা পড়ার আগে ভিন্সের ব্যাট থেকে এসেছে ৫ রান।
ডাকেট তো রানের খাতা খুলতেই পারেননি। সাকিবের দারুণ টার্ন করা একটি বলে বোল্ড হয়ে গেছেন তিনি। তিন ওভার পর ‘ডেঞ্জারম্যান’ জেসন রয়কে দুর্দান্ত বলে এলবিডব্লিউ করেছেন মাশরাফি। রয় ফিরেছেন ১৩ রান করে। মাশরাফির পরের ওভারে বোল্ড হয়ে গেছেন বেন স্টোকস। ডাকেটের মতো স্টোকসও ফিরেছেন শূন্য হাতে।
শুরুতে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেছেন বেয়ারস্টো ও বাটলার। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েছেন দুজনে। ৩৫ রান করা বেয়ারস্টোকে কট বিহাইন্ড করে জুটিটা ভেঙে দিয়েছেন তাসকিন।
তিন ওভার পরই নাসিরের আঘাত। তাঁর বলে পেছন দিকে দৌড়ে সামনে ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় মইন আলীর (৪) ক্যাচ তালুবন্দি করেছেন সাকিব। পরের ওভারের প্রথম বলেই বাটলারকে এলবিডব্লিউ করেছেন তাসকিন। ইংল্যান্ড অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭ রান। তাসকিনের পরের ওভারে কট বিহাইন্ড হয়ে গেছেন ক্রিস ওকসও (৭)।
দলকে নবম উইকেট উপহার দিয়েছেন মোসাদ্দেক। ডেভিড উইলিকে (৯) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। শেষ দিকে আদিল রশীদ (৩৩*) আর জেক বল (২৮) প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। বলকে নাসিরের ক্যাচ বানিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব মাশরাফির। ২৯ রানে চার উইকেট নিয়ে অধিনায়কই বাংলাদেশের সেরা বোলার। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও অবধারিতভাবে তিনিই। ৪৭ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। একটি করে উইকেট সাকিব, নাসির ও মোসাদ্দেকের।
এর আগে মাশরাফির ৪৪, মাহমুদউল্লাহর ৭৫ ও প্রায় এক বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা নাসির হোসেনের অপরাজিত ২৭ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান করেছিল বাংলাদেশ।