সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন মাশরাফি
১১৩ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর মাহমুদুল্লাহর ৭৫ রানের ইনিংস বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছিল। তারপরও দলের স্কোর দুইশর কোটা পেরোবে কি না, তা নিয়ে ছিল সংশয়। এরপর মাঠে নেমে মাশরাফি ছক্কা হাঁকিয়ে জানান দিলেন, দিনটি তাঁর। অনেক দিন পর মাঠে নামা নাসিরকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ২৩৮ রানের পুঁজি এনে দেন মাশরাফি। তিন ছক্কা আর দুই চারে করেন ৪৪ রান। আর সেই রানে ভর করেই বোলাররা পায় লড়াই করার শক্তি।
বল হাতেও দুর্দান্ত ছিলেন মাশরাফি। তিনিই এনে দেন দলের প্রথম ব্রেক-থ্রু। এরপর সাকিবের সঙ্গে মিলে ২৬ রানে তুলে নেন ইংল্যান্ডের চার উইকেট। এরপরও ব্যাট হাতে বাটলারের শক্ত প্রতিরোধ ভাবাচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু তাসকিন আর নাসির মিলে ম্যাচের মোড় ঘোরালেও শেষ উইকেটটা নিয়ে ছিল সংশয়। সেই উইকেটটা নিয়ে দিন শেষে আবারও দর্শকদের আনন্দে মাতান মাশরাফি।
স্বাভাবিকভাবে দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মাশরাফির পারফরম্যান্স। এ নিয়ে জবাবটাও দিয়েছেন অধিনায়কোচিত।
‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছি। এ জন্য হয়তোবা আলাদা করে হচ্ছে। বাট আমার কাছে সব সময় টিমটা জিতলে, তাতে হয়তোবা ম্যান অব দ্য ম্যাচ যে কেউ হবে বা উইকেট যে কেউ পাইত। বাট, ম্যাচটা জিততে পেরেছি। এটা খুব ভালো লেগেছে। কারণ লাস্ট ম্যাচটা আমরা যেখান থেকে হেরেছি, খুব শকড ছিলাম’, বলেন মাশরাফি।
‘প্লেয়াররা খুব ডিসঅ্যাপয়েন্টেড ছিল। কালকের দিনও বলেন, ইভেন আজকে ওয়ার্মআপ পর্যন্ত প্লেয়াররা একটু ডাউন ছিল। বাট লাকিলি হয়তোবা ব্যাটিংয়ে ইফেক্টটাও যদি দেখেন, আমি বলব না যে ওইটার কারণে। বাট একটা মুহূর্ত সব কিছু চেঞ্জ করে দেয়। সো আমাদের ওই বিশ্বাসটা ছিল, এটাই ইম্পুওরট্যান্ট’, যোগ করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরেছে বাংলাদেশ। এবার আশা সিরিজ জয়ের। এ নিয়ে স্বাগতিক অধিনায়ক বলেন, ‘সুযোগ আছে। হবে কি না, সেটা তো বলা যাচ্ছে না। তবে খুব ভালো সুযোগ আছে। স্পেশালি ধরেন এ রকম একটা ম্যাচ জেতার পরে মোরালি সবই ভালো অবস্থায় থাকার কথা।’
‘সবাই যদি ফিট থাকি এবং চিটাগংয়ে যেয়ে ভালো মতো প্রিপারেশন নিতে পারি, অবশ্যই সুযোগ আছে।’