টেস্টের জন্য প্রস্তুত ‘টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট’ সাব্বির
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাব্বির রহমানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি দিয়ে। ভালো নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর কাড়তে খুব বেশি দিন সময় লাগেনি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পেয়ে গিয়েছিলেন ‘টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট’-এর খেতাব। ২০১৪ সালের নভেম্বরে ওয়ানডে অভিষেকের পর ধারাবাহিকভাবেই ভালো খেলেছেন সাব্বির। আর এখন দাঁড়িয়ে আছেন টেস্ট অভিষেকের দ্বারপ্রান্তে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই ক্রিকেটের আদি সংস্করণে অভিষেক হয়ে যেতে পারে সাব্বিরের। আর সেটার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতও আছেন তরুণ এই ক্রিকেটার।
সাব্বিরকে বরাবরই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করতে দেখেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেটা টি-টোয়েন্টিই হোক বা ওয়ানডে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে যেখানে ধৈর্যের পরীক্ষাটাই দিতে হয় সবার আগে, সেখানে কী টিকতে পারবেন সাব্বির? মানিয়ে নিতে পারবেন টেস্ট ক্রিকেটের মেজাজের সঙ্গে? সাব্বিরের বিশ্বাস পারবেন। দৃঢ়তার সঙ্গেই তিনি বলেছেন, ‘সবাই ভাবত যে, আমি টে-টোয়েন্টির খেলোয়াড়। ওয়ানডে বা টেস্টে ভালো খেলতে পারব না। কিন্তু আমি প্রমাণ করেছি যে, ওয়ানডেও খেলতে পারি। এখন টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছি। চেষ্টা করব যে, তিনটা ফরম্যাটেই যেন একই ভাবে খেলে যেতে পারি।’
মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবেই বাংলাদেশের টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সাব্বির। তবে বল হাতেও যে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে। দারুণ বোলিং করে তুলে নিয়েছিলেন জো রুট, মইন আলী, হাসিব হামিদের উইকেট। শেষপর্যন্ত টেস্ট সিরিজের প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে ব্যাটিং-বোলিং, সব দিক দিয়েই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে চান সাব্বির, ‘আমি বোলিংও করতে পারি। ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়েও আছি। চেষ্টা করব তিন দিক দিয়েই যেন ভালো কিছু দিতে পারি। ব্যাটিং-বোলিং বা ফিল্ডিং, দলের যখন যেরকম প্রয়োজন, সেরকমই দেওয়ার চেষ্টা করব।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে সাব্বির ছাড়াও আছেন আরো তিনটি নতুন মুখ। কামরুল হাসান রাব্বি, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান। টেস্ট অভিষেকের স্বপ্নে সবাই বিভোর হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন সাব্বির।
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ।