কঠিন লক্ষ্য পেরোতে পারবে বাংলাদেশ?
লক্ষ্য ২৮৬ রান। হাতে সময় আছে প্রায় দুদিন। সাধারণ হিসাবে এ লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়। তাই হয়তো অনেকেরই মনে হতে পারে, এই ম্যাচ জেতা খুব একটা অসম্ভব নয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। চট্টগ্রাম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই রানও বাংলাদেশের জন্য অনেকটা হিমালয় সমান।
একে তো জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট খুব একটা ব্যাটিং সহায়ক নয়। এই উইকেটে স্পিনাররা দাপট দেখাচ্ছেন। এমন উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা খুব একটা সহজ নয়। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ডও খুব একটা ভালো নয়।
টেস্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যে সাতটি জয় পেয়েছে, তার মধ্যে দুটি মাত্র ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান চেজ করে চার উইকেটে জিতেছিলে লাল-সবুজের দল, সাত বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রানাডায়।
আর দেশের মাটিতে চেজ করে জয় মাত্র একটি, ২০১৪ সালের অক্টোবরে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ১০১ রান চেজ করে জিততে সাত ব্যাটসম্যান হারাতে হয়েছিল বাংলাদেশের। শেষ মুহূর্তে তাইজুল ১৫ রান না করলে সেই ম্যাচ জেতা অসম্ভবই ছিল।
এমন রেকর্ড আর উইকেটের ধরন বলছে, এ লক্ষ্যও বাংলাদেশের জন্য অনেকটা হিমালয়ের সমান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই হিমালয় টপকাতে পারবে বাংলাদেশ? হয়তো। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রেকর্ড গড়তে হবে।
চট্টগ্রামের উইকেটে গত তিনটি ইনিংসে কোনো দলই ৩০০ রান করতে পারেনি। এই উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য টিকে থাকাটাও বেশ কঠিন। আর স্পিনাররা বেশ দাপট দেখাচ্ছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, চতুর্থ ইনিংসে চেজ করে এই ম্যাচ জেতা খুব একটা সহজ হবে না।
তাই বলে অসম্ভবও নয়। ক্রিকেটে অনেক কিছুই সম্ভব। এই ম্যাচ জিতলে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয়ের রেকর্ড হবে।