ওল্ড ট্রাফোর্ডের স্মৃতি ফেরাল বাংলাদেশ
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরো একটি শতকের পর ছয় বছর আগে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের কথাই হয়তো মনে পড়ছে তামিম ইকবালের। স্থান-কাল অনেক বদলে গেলেও মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে যেন ফিরে এলো ওল্ড ট্রাফোর্ডের স্মৃতি। আজকের আগে ২০১০ সালের সেই ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ শতকটি করেছিলেন তামিম। আর ঢাকার মতো ওল্ড ট্রাফোর্ডেও বাংলাদেশ হয়েছিল ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার।
২০১০ সালের সেই ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতেই ১২৬ রান জমা করেছিলেন তামিম ও ইমরুল কায়েস। দারুণ এই শুরুর পর বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখতে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। ইমরুল ৩৩ রান করে আউট হয়ে গেলেও তামিম খেলেছিলেন ১১৪ বলে ১০৮ রানের দাপুটে ইনিংস। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে তামিম আউট হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ পড়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে। ২ উইকেটে ১৬৯ থেকে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ২১৬ রানে। ৪৭ রান সংগ্রহ করতেই বাংলাদেশ হারায় আটটি উইকেট।
ছয় বছর পরেও ঠিক একই রকম চিত্র দেখা গেল মিরপুরে। দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিলেন তামিম ও মুমিনুল হক। তামিম খেলেছেন ১০৪ রানের দারুণ ইনিংস। মুমিনুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৬ রান। কিন্তু এই দুজন আউট হওয়ার পর আর কোনো বড় জুটিই গড়তে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ২ উইকেটে ১৭১ থেকে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ২২০ রানে। এবার শেষ ৪৯ রান সংগ্রহ করতে আটটি উইকেট হারিয়েছে মুশফিক বাহিনী।
২০১০ সালে ইংল্যান্ড সেই ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টটা জিতেছিল ইনিংস ও ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে। তবে এবার হয়তো এমন হারের লজ্জায় পড়তে হবে না বাংলাদেশকে। কারণ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে ভালো নৈপুণ্যই দেখাচ্ছেন সাকিব-মিরাজরা। ৪২ রান সংগ্রহ করতেই ইংল্যান্ড হারিয়েছে তিনটি উইকেট।