২৪ রানের লিড ইংল্যান্ডের
মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে ১৪৪ রানেই ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। আশা ছিল প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার। কিন্তু নবম উইকেটে ৯৯ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে হতাশ করছেন আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকস। শেষপর্যন্ত মিরাজই ভেঙেছেন এই ইংলিশ প্রতিরোধ। ৪৬ রান করে ফিরে গেছেন ওকস। পরের ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান স্টিফেন ফিনকে আউট করে ইংল্যান্ডকে ২৪৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। রশিদ ও ওকসের ভালো ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে অবশ্য ইংল্যান্ড পেয়ে গেছে ২৪ রানের লিড।
ব্যাট হাতে ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। তিন ইনিংসে করেছেন মাত্র তিন রান। তবে বল হাতে চমক দেখিয়েই চলেছেন তরুণ এই অফস্পিনার। অভিষেক টেস্টে আট উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও নিয়েছেন ছয় উইকেট। তাইজুল পেয়েছেন তিন উইকেট।
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনে উইকেট বৃষ্টি থামিয়েছিল সত্যিকারের বৃষ্টি। বাংলাদেশের করা ২২০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড হারিয়েছিল তিনটি উইকেট। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হয়তো কিছুটা স্বস্তিই পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সফরকারীদের বিপাকে ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফিরেছেন মইন আলী ও বেন স্টোকস। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু এই জুটিও খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি মিরাজ। ২৪ রান করে আউট হয়েছেন বেয়ারস্টো। কয়েক ওভার পরে জাফর আনসারিকে সাজঘরে ফিরিয়ে পূর্ণ করেছেন পাঁচ উইকেট।
দিনের তৃতীয় ওভারেই সাফল্য পেয়েছিলেন মিরাজ। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছিলেন মইন আলীকে। ১০ রান করে ফিরতে হয়েছিল বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানকে। পরের ওভারে তাইজুল ইসলাম সাজঘরমুখী করেছেন দারুণ ফর্মে থাকা বেন স্টোকসকে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি বেয়ারস্টোও। মিরাজের শিকার হয়ে ফিরে গেছেন ২৪ রান করে। ইংল্যান্ডের শেষ ভরসা হয়ে উইকেটে টিকে ছিলেন তারকা ব্যাটসম্যান জো রুট। কিন্তু প্রথম সেশনে তাঁকেও আউট করেছেন তাইজুল ইসলাম। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে ফিরে গেছেন রুট।
প্রথম দিনে ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণভাবে করলেও বাংলাদেশ পড়েছিল ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে। দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক। তামিম পূর্ণ করেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম অর্ধশতক। মুমিনুল খেলেছেন ৬৬ রানের লড়াকু ইনিংস। কিন্তু এরপর মাত্র ৪৯ রান জমা করতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে নয়টি উইকেট। গুটিয়ে গেছে মাত্র ২২০ রানে।
ব্যাটিং ব্যর্থতা অবশ্য বল হাতে অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছেন সাকিব-মিরাজরা। বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মাত্র ১২.৩ ওভার ব্যাটিং করতেই শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান বেন ডাকেট, অ্যালিস্টার কুক ও গ্যারি ব্যালান্সের উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।