ইংল্যান্ডকে ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের
প্রথম ইনিংসে শুরুটা দারুণভাবে করেও বাংলাদেশ পড়েছিল ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে। মাত্র ৪৯ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে গিয়েছিল ২২০ রানে। সেই তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো নৈপুণ্যই দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ২৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর ২৯৬ রান সংগ্রহ করেছেন তামিম-মুশফিকরা। ফলে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২৭৩ রান।
৩ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের প্রথম ১৪ ওভার নির্বিঘ্নেই কাটিয়েছিলেন ইমরুল ও সাকিব। কিন্তু ১৫তম ওভারে মইন আলীর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ইমরুল। আউট হওয়ার আগে ৭৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দুইবার জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। আদিল রশিদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ৪১ রান করে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। করেছেন ৯ রান। দ্রুত রান সংগ্রহের তাগিদে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেছিলেন সাব্বির রহমান। তিনটি চার মেরে করেছিলেন ১৫ রান। কিন্তু সাব্বিরকে সেখানেই থামিয়ে দিয়েছেন রশিদ। শেষপর্যায়ে শুভাগত হোমের ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৯৬ রান।
ইংল্যান্ডের পক্ষে দারুণ বোলিং করে চারটি উইকেট নিয়েছেন রশিদ। তিনটি উইকেট পেয়েছেন বেন স্টোকস। দুটি উইকেট গেছে জাফর আনসারির ঝুলিতে।
দ্বিতীয় দিনে মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২৪৪ রানেই আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের শেষ পর্যায়ে ব্যাট হাতেও ভালো নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন তামিম-ইমরুল-মাহমুদউল্লাহরা। উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৫ রান জমা করেছিলেন তামিম-ইমরুল। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন শুধু মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ৬৬ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছেন মাত্র ১ রান করে। ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আক্ষেপ হয়ে ছিল শুধু মাহমুদউল্লাহর আউটটা। দারুণ ব্যাটিং করে অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু আউট হয়েছেন দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে। খেলেছেন ৪৭ রানের ইনিংস।