সাক্ষাৎকার
আমি যাওয়ার সময় সবাই অবাক হবে : মাশরাফি
আজ ৮ নভেম্বর। ২০০১ সালের এই দিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার। দীর্ঘ পথচলায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পার করে ফেললেন ১৫ বছর। দীর্ঘ সময়ের এই ক্যারিয়ারে তাঁর প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে বলেছেন এনটিভি অনলাইনকে।
প্রশ্ন : ২০০১ সালে যখন আপনি শুরু করেছিলেন, তার পর থেকে দীর্ঘ পথচলা। চোট আপনাকে মাঝেমাঝে খুব ভুগিয়েছে। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারটাকে কীভাবে দেখবেন?
মাশরাফি : না, আলাদা করে দেখার কিছু নেই। এটা একটা প্রক্রিয়া। যেহেতু চোট ছিল, কঠিন অবস্থায় ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, সবার দোয়া ছিল এবং ভালোবাসা ছিল বলেই এতদিন খেলতে পারছি। অবশ্যই এখন ভালো লাগছে।
প্রশ্ন : আপনি যখন শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের বড় স্টার বলতে তখন ছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং আকরাম খানরা। সে জায়গা থেকে বাংলাদেশ এখন পেয়েছে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালদের। আপনার সময়ে গত ১৫ বছরে কী কী পরিবর্তন দেখলেন?
মাশরাফি : পরিবর্তন তো আসলে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আকরাম ভাইরা সে সময়ে অনেক কষ্ট করে খেলেছেন। তখন অনেক সুযোগ-সুবিধা হয়তো ছিল না। ওনাদের সঙ্গে আমি যখন খেলি, তখন এই অবস্থা দেখেছি। দিন দিন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৬ সালে এসে প্রথম জিমন্যাশিয়াম হয়েছে আমাদের জন্য। যখন আরো পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে খেলোয়াড়দের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তখন আরো খেলোয়াড় আসতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে দেখবেন আরো খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছে। সে জায়গা থেকে এই পরিবর্তনটা অস্বাভাবিক কিছু মনে হয় না।
প্রশ্ন : ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে আপনার অপ্রাপ্তি বলতে কি কম টেস্ট ক্রিকেট খেলা। যদি তাই হয় এটি আপনাকে ভাবায় কি না?
মাশরাফি : না, এসব কিছু আমাকে ভাবায় না। অপ্রাপ্তির কথা বললে অনেক কিছুই তুলে ধরা যাবে, তবে আমি খেলতে পারছি এটাই আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। তবে দিন শেষে আমি আমার অপ্রাপ্তিগুলোর কথা বলতে চাই না। আলাদা করে কিছু বলার নেই।
প্রশ্ন : শেষ দুই বছরকে আপনি আলাদা জায়গায় রাখবেন কি না?
মাশরাফি : প্রত্যেকটা সময় আমার জন্য কঠিন ছিল। এটা বলে লাভ নেই। আমি যখন চোটে ছিলাম, তখনকার সময়টা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। ওই সময়টা আমাকে আরো বেশি আনন্দ দিয়েছিল। কারণ সেই কঠিন পথ অতিক্রম করে ফিরে আসতে পেরেছি। অনেকেরই অনেক কিছু অর্জন থাকে, কিন্তু এভাবে ফিরে আসাটা বড় কঠিন। আমি তা পেরেছি বলেই আনন্দিত।
প্রশ্ন : আরো পাঁচ বছর খেলতে পারবেন?
মাশরাফি : না, পাঁচ বছর মনে হয় না খেলতে পারব।
প্রশ্ন : কেমন, মানে কী চিন্তা করছেন? আর কত দিন খেলতে পারবেন?
মাশরাফি : না, জানি না। তবে যাওয়ার সময় সবাই অবাক হবে, এটুকু বলতে পারি।