আবার আলোচনায় বেঁচে যাওয়া সেই আম্পায়ার!
অনেক দ্বিধা, অনেক সংশয়ের পর শেষ পর্যন্ত তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবে জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখার আগেই আরেকটি বিপত্তি। আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, এই সিরিজ পরিচালনার জন্য কোনো আম্পায়ার বা ম্যাচ কর্মকর্তাকে দেশটিতে পাঠানো হবে না। এমন অবস্থায় এক ‘অভিনব’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ২০০৯ সালে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েও বেঁচে যাওয়া আহসান রাজাকে এ সিরিজে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছে তারা।
২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কান দলের বাসে সন্ত্রাসীদের হামলার পর থেকেই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ‘ব্রাত্য’। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে জিম্বাবুয়েকে এ সফরের জন্য রাজি করিয়েছে পিসিবি। সে হামলায় শ্রীলঙ্কা দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আট ব্যক্তি মারা গিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সাত ক্রিকেটার। আহসানের শরীরে কয়েকটি গুলি বিদ্ধ হয়েছিল। মাসখানেক মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে আহসানকে আম্পায়ার নির্বাচিত করে আইসিসির ওপরে বোধ হয় ‘একহাত’ নিল পিসিবি! পিসিবি জানিয়েছে, এ সিরিজে তাঁর সঙ্গে আম্পায়ার হিসেবে আরো থাকবেন আলীম দার, শোজাব রাজা, আহমেদ শাহাব ও খালিদ মাহমুদ। আসবেন জিম্বাবুয়ের আম্পায়ার রাসেল টিফিনও।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী দ্বিপক্ষীয় সিরিজে নিরপেক্ষ আম্পায়ার থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পাকিস্তানের জন্য তারা এই শর্ত শিথিল করেছে। পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ের ম্যাচগুলো গণ্য হবে আইসিসির আনুষ্ঠানিক সফরসূচির অংশ হিসেবেও।
এদিকে, জিম্বাবুয়ে দলকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দিচ্ছে পাকিস্তান। ২২ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজের সব ম্যাচই হবে লাহোরে। মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ে দলের পাকিস্তানে পৌঁছানোর কথা।