মিরপুরের ট্র্যাজিক হিরো সাব্বির
ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে যখন আউট হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন, প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এসে অভিনন্দন জানালেন তাঁকে। তা ছাড়া প্রতিপক্ষ দলের আরো অনেকেই সাব্বির রহমানের পিঠ চাপড়ালেন। কেন ? অনেকের মনেই হয়তো জাগাতে পারে এমন প্রশ্ন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সাব্বির এমনই এক অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন যে তাঁকে অভিনন্দন না জানিয়ে কোনো উপায় ছিল না প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদেরও।
রোববার বরিশাল বুলসের বিপক্ষে রাজশাহী ব্যাটসম্যান সাব্বির খেলেছেন অসাধারণ একটি শতরানের ইনিংস। ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তাঁর প্রথম শতক। সাব্বিরের ৬১ বলে ১২২ রানের অসাধারণ এই ইনিংসে ভর করে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল রাজশাহী। কিন্তু শেষপর্যন্ত সাব্বির থেকে গেছেন ট্র্যাজিক হিরো হয়ে। মাত্র চার রানের জন্য নাম লেখাতে পারেননি জয়ী দলে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের কথা মনে করলে তাই হয়তো কিছুটা আক্ষেপই থেকে যাবে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের।
ব্যাট হাতে শুরু থেকেই বোলারদের ওপর নির্দয়ভাবে চড়াও হয়েছিলেন সাব্বির। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতক এবং ৫৩ বল খেলে পূর্ণ করেছিলেন শতক। যাতে ছিল নয়টি চার ও নয়টি ছক্কার মার ছিল। ১৬তম ওভারে আউট না হলে ম্যাচটা যে রাজশাহীই জিতত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সাব্বির অনেকটা এগিয়ে দিলেও শেষপর্যায়ের ব্যাটিং ব্যর্থতায় আর শেষ হাসি হাসতে পারেনি রাজশাহী কিংস।
এদিন বেশ উজ্জ্বলতা ছড়ালেও এর আগে প্রথম দুই ম্যাচে অবশ্য খুব একটা সাফল্য পাননি সাব্বির। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চার ও ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ৩১ রান। সেই সাব্বিরকে তৃতীয় ম্যাচে একেবারেই বিধ্বংসী রূপে দেখেছেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দর্শকরা। কেন যে তাঁকে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট বলা হয়, সেটাও খুব ভালোমতোই প্রমাণ করেছেন তরুণ এই ক্রিকেটার।