মাদ্রিদে ঝলমল বেনজেমা
হাতের বাহুতে ব্যান্ডেজ নিয়ে মৌসুম কাটিয়েছেন। উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন ২০২২ সালে। অথচ, কয়েক মৌসুম আগেও ফাঁকা পোস্টে সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে কতই না সমালোচিত হতেন করিম মোস্তফা বেনজেমা। কিন্তু, তার ভেতরের প্রতিভাকে ঠিকই চিনতে পেরেছিলেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। বুঝেছিলেন জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি পেরেজ তাই বেনজেমাকে বিক্রির বিষয়ে কথাই বলতেন না।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদকে যে সাফল্য এনে দিয়েছেন, নিজেকে যে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন, সেখানে বেনজেমার অবদান কতখানি তা রোনালদো জানেন। মাদ্রিদের বিখ্যাত বিবিসি ত্রয়ীর একজন ছিলেন তিনি। শ্যাডো স্ট্রাইকার হয়ে জায়গা ছেড়ে দিতেন রোনালদোকে।
২০১৮ সালে ক্লাব ছাড়েন রোনালদো। মাদ্রিদ ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন সার্জিও রামোস। মাদ্রিদের নেতৃত্বের দায়ভার এসে পড়ে বেনজেমার ওপর। শুধু দলের নয়, আক্রমণভাগের নেতৃত্বও তার ওপর এসে পড়ে। দারুণভাবে দুটোই সামলান। স্প্যানিশ লা লিগার পাশাপাশি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনালদোর পর দ্বিতীয় মাদ্রিদ ফুটবলার হিসেবে এক মৌসুমে রেকর্ড ১৫ গোল করেন বেনজেমা।
মাদ্রিদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫টি শিরোপা জিতেছেন বেনজেমা। পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, পাঁচটি ক্লাব বিশ্বকাপ; চারটি করে লা লিগা, উয়েফা সুপার কাপ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং তিনটি কিংস কাপ আছে বেনজেমার নামের পাশে।
রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ৬৪৭ ম্যাচ খেলেছেন বেনজেমা, যা ক্লাবটির পক্ষে পঞ্চম সর্বোচ্চ। গোল করেছেন ৩৫৩টি। এটিও রোনালদোর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। লা লিগায় ২৩৬ গোল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯০ গোলও মাদ্রিদের পক্ষে রোনালদোর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা বানিয়েছে তাকে।
আজ রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে মাদ্রিদের ম্যাচ দিয়ে বেনজেমার বর্ণিল এই মাদ্রিদ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটবে। যদিও আগামী মঙ্গলবার (৬ জুন) ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের উপস্থিতিকে তাকে আলাদাভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।