ইন্টার মায়ামিকে বেছে নেওয়ার কারণ জানালেন মেসি
পিএসজি ছাড়ার পর আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির পরবর্তী গন্তব্য কোথায়? যত সময় গড়াচ্ছিল ততই এই ইস্যুতে বাড়ছিল জল্পনা-কল্পনা। মেসির সামনে সুযোগ ছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার কিংবা প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনায় ফেরার। তবে তার কোনোটিই করেননি বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে এসে বেছে নিলেন মেজর সকাল লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে।
গতকাল বুধবার (৭ জুন) জনপ্রিয় ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও স্পোর্ত ও মুন্দো দিপোর্তিভোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আমি মায়ামিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনও চুক্তির সব কাজ সারতে পারিনি। এখনও কিছু বিষয় বাকি আছে। তবে আমরা এই লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ইউরোপ ছাড়তে চেয়েছি। এটা সত্য যে আমার সামনে অন্য ইউরোপিয়ান দলের প্রস্তাবও ছিল। তবে সেটা নিয়ে একদমই ভাবিনি। কারণ, ইউরোপে খেললে শুধু বার্সেলোনায় যেতাম।’
বার্সেলোনায় না ফেরার কারণ জানিয়ে মেসি বলেন, ‘আমি আসলেই বার্সেলোনাতে ফিরতে চেয়েছিলাম এবং এটা নিয়ে খুবই শিহরিত ছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে বিদায়ের সময় যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছিল, সেই অবস্থার মধ্যে আবার পড়তে চাইনি; সামনে কী ঘটবে, তা দেখার অপেক্ষায় থাকতে এবং অন্যের হাতে নিজের ভবিষ্যৎ তুলে দিতে চাইনি। শুনেছিলাম আমাকে আনার জন্য বার্সেলোনাকে খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে বা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক কমাতে হবে। সত্যি বলতে, আমি এই বিষয়গুলোর মধ্য দিয়ে যেতে চাইনি, কিংবা এসব কিছুর দায় নিতে চাইনি।’
কাতারে বিশ্বকাপ জিতে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতে নিয়েছেন মেসি। তাই এখন বাকি সময়টা কেবল উপভোগ করতে চান রেকর্ড সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা, ‘বিশ্বকাপ জেতার পর এবং বার্সায় না যাওয়ার ফলে এখন সময় এসেছে এমএলএসে যাওয়ার। অন্যভাবে ফুটবলে বাঁচার এবং আমার প্রতিদিনের জীবনকে আরও উপভোগ করার। অবশ্যই দায়িত্ব একই এবং জেতার আকাঙ্ক্ষাও। জিনিসগুলো আরও ভালোভাবে, আরও শান্তভাবে করতে চাই।’
দুই বছর পিএসজিতে কাটানো অধ্যায় নিয়েও মেসি কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, সেখানে মোটেও ভালো ছিলেন না তিনি, ‘পিএসজির দুই বছর আমার ভালো যায়নি, উপভোগও করিনি। এসব আমার পারিবারিক জীবনের ওপর প্রভাব ফেলেছিল।’
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে আল-নাসর দলে টানার কয়েকদিন পর সৌদির আরেক ক্লাব আল-হিলাল মেসিকে পাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। শুরুতে ৪০০ মিলিয়ন ডলার, পরে তা বাড়িয়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দেয় ক্লাবটি। এমন লোভনীয় প্রস্তাব মেসি মেনে নেবেন এমনটা ভেবেই নিয়েছিল আল হিলাল। তাদের সূত্রের বরাতে বেশ কিছু সংবাদও প্রকাশ পায়। তবে শেষ পর্যন্ত মায়ামিকে বেছে নিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।