দাপুটে বাংলাদেশ, বিপদে আফগানিস্তান
ব্যাটিং ইনিংসের মতো বোলিংটাও দুর্দান্ত কাটছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ব্যাট করতে নেমে বিপদে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বোলাদের দাপটে ফলোঅন এড়ানো নিয়েই শঙ্কায় আফগানিস্তান।
স্কোরবোর্ডে ১৪০ রান তুলতেই আটটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আফগানরা। দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও শরিফুল মিলে দাঁড়াতে দিচ্ছেন না অতিথিদের। সঙ্গে স্পিন দিয়ে ভূমিকা রাখছেন মিরাজরা-তাইজুলরা। বোলারদের কল্যানে দ্বিতীয় সেশন শেষে স্বস্তিতে বাংলাদেশ।
অবশ্য দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে আজকের শুরুটা ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ-আফগানিস্তান একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। যেখানে সবাই অপেক্ষায় ছিল বড় সংগ্রহের, সেখানে আগের দিনের ৩৬২ রানের সঙ্গে মাত্র ২০ রান যোগ করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। পেস বিষে একাই ধসিয়ে দেন নিজাত মাসুদ। ৩৮২ রানে আলআউট হয়ে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
তবে বল হাতে নিজেদের ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যাটিংয়ের হতাশা কাটিয়ে তুলে নিল আফগানিস্তানের তিন উইকেট। প্রথম সেশন শেষে তিন উইকেট হারিয়ে আফগানরা সংগ্রহ করে মাত্র ৩৫ রান।
সেখান থেকে দ্বিতীয় সেশনে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তুলে নিয়েছে আরও পাঁচ উইকেট। মোট আট উইকেট হারিয়ে বিপাকে সফরকারীরা।
শেরেবাংলায় সবুজ উইকেট। ঘাসের পিচ। বলে গতি ও বাউন্স থাকাটা স্বাভাবিক। এমন পিচ পেসারদের জন্যই। নিজাতের বোলিংয়ের জবাব শুরুতেই দিল বাংলাদেশি পেসাররা। আফগানদের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ইনিংসের প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে (৬) উইকেটের পেছনে অধিনায়ক লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
পরের ওভারে ইবাদত হোসেনের বল কাট করেন আবদুল মালিক (১৭)। স্লিপে থাকা জাকির হাসান সামনে ডাইভ দিয়ে লুফে নেন ক্যাচ। বাংলাদেশ পায় দ্বিতীয় উইকেটের দেখা। নবম ওভারে ইবাদতের বলে স্লিপের ফাঁক গলে দুটো বল ছুটে যায়।
তবে, তৃতীয় সাফল্যটাও এনে দিলেন ইবাদত। ইবাদতের ডেলিভারিতে ব্যাট বলের মেলবন্ধন ঘটেনি রহমত শাহর। ব্যাটের মাঝখানে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন তাসকিন আহমেদ।