বদলে যাওয়া মিরপুরের উইকেটের প্রশংসায় ইবাদত
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট মানেই স্লো অ্যান্ড টার্নিং। যেখানে বরবারই সুবিধা পেয়ে থাকে স্পিনাররা। তবে, দিন বদলেছে। এখন আর স্পিন নয়, পেস সহায়ক উইকেটে মনোযোগ বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান টেস্ট যার বড় উদাহরণ। প্রথমবারের মতো এমন উইকেট পেয়ে খুশি পেসার ইবাদত হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন ইবাদত। উইকেট প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘আমার দেখা এই প্রথম যে এই ধরনের উইকেট আমরা পেয়েছি। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যে তিনটা পেস বোলার এরকম উইকেটে খেলা, এটা আমাদের অনেক বড় সৌভাগ্য। কাজেই আমরা চেষ্টা করেছি যে, ওদের যত কম রানে আউট করা যায়। আসলে পরিকল্পনাটা কাজে লাগাতে পেরেছি।’
গত তিন বছরে নিজেদের পারফরম্যান্সের উন্নতির প্রসঙ্গ টেনে ডানহাতি পেসার বলেন, ‘শেষ তিন বছর ধরে আমাদের পেস বিভাগ বেশ ভালো উন্নতি করছে। বলছি না যে আমরা এখনই ভালো হয়ে গেছি কিন্তু শেষ তিন বছর ধরে আমরা চেষ্টা করছি উন্নতির গ্রাফটা উপরের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ, যে জিনিসটা হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটে এখন পেস বোলিং ডমিনেটিং মাইন্ড যেটা আছে ওটা আমরা আয়ত্ত করার চেষ্টা করছি।’
নিজের বোলিং নিয়ে ইবাদত বলেন, ‘আমি যে উইকেটগুলো পেয়েছি, সেগুলো টানা বাউন্স করার ফলে না। আমি ব্যাটারকে সামনে বলে করে সেটআপ করেছি এরপর সারপ্রাইজিং বাউন্সার করছি। জিনিসটা হচ্ছে আগে দেখা যাচ্ছে আমি ইনসুইং, আউটসুইং, এরকম ওভারে দুই-তিনটা বাউন্সার করতাম। ব্যাটারকে সেটআপ করে বোলিং করা আস্তে আস্তে গ্রাব করার চেষ্টা করেছি। দেখা যাচ্ছে ব্যাটারকে সেটআপ করে একটা সারপ্রাইজিং বাউন্সার। যেহেতু উইকেটে একটু হেল্প ছিল।'