শরিফুল-ইবাদতদের পেস তাণ্ডবে দিশেহারা আফগানিস্তান
৬৬২ রানের লক্ষ্য স্বাভাবিকভাবেই আফগানিস্তানের জন্য বেশ কঠিন। সেই লক্ষ্যকে আরও কঠিনতর করে তুলছে ইবাদত-তাসকিনরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগান ব্যাটারদের ক্রিজে থিতু হতেই দিচ্ছে না বাংলাদেশ। ২ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রানের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করা আফগানিস্তান শুরুতেই হারিয়ে বসেছে ৬ উইকেট।
আজ শনিবার (১৭ জুন) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হওয়ার ১২ মিনিটের মাথায় ইবাদত হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন জামাল। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৬ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর একে একে আরও তিন উইকেট হারায় আফগানিস্তান। শেষ খবর পর্যন্ত আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান। জয়ের জন্য এখনও প্রয়োজন ৫৭১ রান।
দ্বিতীয় দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ৩৭০ রানে পুঁজি গড়েই ঢাকা টেস্টে চালকের আসনে বসে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য বাকি দুইদিনে বাংলাদেশের চাই আর ৮ উইকেট, আফগানিস্তানের ৬১৭ রান। এত রান তাড়া করে জেতার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ আফগানদের। তাই চতুর্থ দিনেই জয় তুলে নিতে মরিয়া বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটে এতটা নির্ভার বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই অতীত অভিজ্ঞতা ছিল তিক্ততায় ভরা। সেই আফগানদের নিয়ে এবার ছেলেখেলা করছে বাংলাদেশ। কী ব্যাটিং, কী বোলিং—দুই বিভাগেই বাংলাদেশের আধিপত্য!
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। আগের ইনিংসের লিডসহ বাংলাদেশের মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬৬১ রানে। সুতরাং জয় পেতে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ৬৬২ রান। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে প্রতিপক্ষকে দেওয়া বাংলাদেশের সর্বোচ্চ লক্ষ্য এটি।
এর আগে ২০২১ সালে হারারেতে সর্বোচ্চ ৪৭৭রান লক্ষ্য দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জয়ও এসেছিল ২২০ রানে। তা ছাড়া এই রান তাড়া করে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে আফগানদের। কারণ মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ তাড়ার ইনিংস হলো ২০৯। যেটা আছে ইংল্যান্ডের দখলে। এবার আফগানরা এই ‘অসম্ভব’ রেকর্ড গড়তে পারে কি না সেটাই দেখার। তবে তাসকিন-শরিফুলদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে সেই কাজটা একপ্রকার অসম্ভবই বটে।