নেতৃত্ব দেওয়াটা উপভোগ করেছেন লিটন
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট শুরুর আগে চোট ছিটকে দিয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। একই কারণে খেলতে পারেননি দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। শঙ্কায় ছিলেন তাসকিন আহমেদও। শেষ পর্যন্ত অবশ্য খেলেছেন তাসকিন। সাকিবের পরিবর্তে এই টেস্টে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল লিটন দাসকে। ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে আফগানদের হারিয়ে ইতিহাস গড়া জয় পায় বাংলাদেশ। লিটন হয়ে যান ইতিহাস গড়ে জয় পাওয়া দলের অধিনায়ক।
বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন অধিনায়কত্ব সম্পর্কে বলেন, ‘ক্যাপ্টেন্সিটা খুব উপভোগ করেছি। বোলাররা আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। উইকেটের পেছনে যখন দেখি বল ক্যারি করা সহজ হচ্ছে, তখন কিপিং করতেও মজা। যে কোনো সময় উইকেট পাওয়ার সুযোগ থাকে।’
টেস্টে অধিনায়কত্ব করা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। একটা চাপ থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার লিটন। অধিনায়কত্ব চাপ কিনা সে প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘ঠিক চ্যালেঞ্জ না। যখন আপনার হাতে ভালোমানের ব্যাটার-বোলার থাকবে, তখন আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। শান্ত আর জয় যেভাবে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেছে সেটা খেলার ভিত অনেকটাই গড়ে দিয়েছিল। তখন আমার মনে হচ্ছিল আমরা শক্ত অবস্থানে চলে গেছি। তাই খুব একটা চ্যালেঞ্জ মনে হয়নি।’
প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ গড়ার পথে দ্বিতীয় ইনিংসে লিটন নিজেও অবদান রেখেছেন। খেলেছেন ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। চাইলে নিজের ইনিংস বড় করার সুযোগ নিতে পারতেন, কিন্তু দলের স্বার্থে ইনিংস ঘোষণা করে দেন। সেটি বিফলে যায়নি। লিটন এখন বলতে পারবেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টেস্ট জয়ের ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন তিনি।