ইতিহাস গড়ে জিম্বাবুয়ের জয়
চলতি বছর জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কাকে ৩১৭ রানে হারিয়েছিল ভারত। ওয়ানডে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে এটিই ছিল এতদিন সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। আজ যখন ৭৫ রানে যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে, ইতিহাস নতুন করে লেখার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। ৯০ রানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অলআউট করতে পারলে ৩১৮ রানের জয় পেত জিম্বাবুয়ে। রানের ব্যবধানে ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় জয়টা জিম্বাবুয়ের নামের পাশে, ভাবা যায়!
কিন্তু হতে হতেও তা আর হলো না। ভারতেরটাই টিকে রইলো। যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ১০৪ রানে। জিম্বাবুয়ে পায় ৩০৪ রানের জয়। জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় এটি, আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে ভারতের পর এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
জিম্বাবুয়েতে চলছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩ এর বাছাইপর্ব। আজ সোমবার (২৬ জুন) হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয় স্বাগতিকরা। ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে স্কোরবোর্ডে তোলে ৪০৮ রান! জবাব দিতে নেমে ২৫.১ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট হয় যুক্তরাষ্ট্র।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ তো বটেই, জিম্বাবুয়ে প্রথমবার পার করল ৪০০ রানের ঘর। এর আগে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস ছিল ৭ উইকেটে ৩৫১ রান। ২০০৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে কেনিয়ার মাঠেই এই রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
মাত্রই আগের ম্যাচে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর স্মৃতি এখনও তরতাজা জিম্বাবুইয়ানদের। এর মধ্যে আজ আবার এমন দিনের দেখা পাওয়া তাদের জন্য ভাগ্য বটে।
দিনের শুরুতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক মোনাক প্যাটেল। জয়লর্ড গাম্বি ও ইনোসেন্ট কায়ার ওপেনিং জুটিতে জিম্বাবুয়ে করে ৫৬ রান। তবে, সেটি বেশ রয়েসয়েই। ১৩.১ ওভারে ৪১ বলে ৩২ রান করে আউট হন কায়া। ওয়ানডাউনে মাঠে নামেন অধিনায়ক শিন উইলিয়ামস। গাম্বিকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১৬০ রানের জুটি। দলীয় ২১৬ রানে ১০৩ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন কেনজিগির বলে।
তবে, অধিনায়ক উইলিয়ামস ছিলেন পুরোদস্তুর আক্রমণাত্মক মেজাজে। অভিষেক পারাদকারের বলে আউট হওয়ার আগে ১০১ বলে খেলেন ১৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ২১ চার ও ৫ ছয়ের মারে সাজানো ইনিংসটি দেখে যেন মারমুখী হয়ে ওঠেন সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল। রাজা ২৭ বলে ৪৮ ও বার্ল ১৬ বলে ৪৭ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৪০৮ এ গিয়ে থামে জিম্বাবুয়ের রানোৎসব।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক সময় ১০০ রানও বহুদূরের পথ মনে হচ্ছিল। যদিও, শেষ পর্যন্ত ১০৪ রান করে তারা। এতে অবশ্য, জিম্বাবুয়ের ইতিহাস গড়ার পথে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি।