ব্যক্তিগত ইস্যুতে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে নিয়ে যেন আলোচনা থামছেই না। সপ্তাহখানেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্ডির কাছে চেয়েছিলেন ক্ষমা। আর এবার অভিযোগ ব্রুনার অগোচরে এক মডেলের প্রেমে মজেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) স্প্যানিশ সংবামাধ্যম মার্কার প্রতিবেদনে জানা যায়, নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মডেল সেলেস্তে ব্রাইটকে ইনস্টাগ্রামে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন নেইমার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ১৩ লাখ অনুসারী আছে সেলেস্তের। সেলেস্তে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবিতে করতালির ইমোজি দিয়ে টেক্সট করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। সেলেস্তে বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেননি। 

ব্রাজিলিয়ান তারকার সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে সেলেস্তে লিখেছেন, ‘এই ঘটনার আগে আমি জানতাম না নেইমার কে। প্রেমিকা কিংবা বউ থাকলে মেয়েদের এমন বার্তা পাঠানো অনুচিত। এটা ঠিক না। নিজের সঙ্গীর প্রতি ভীষণ অসম্মানজনক।’

এ ঘটনার পর গতকাল টুইটারে একটি পোস্ট দেন নেইমার। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আর কেউ আছে?’ পিএসজি তারকার এই পোস্টে নেটিজেনরা আন্দাজ করে নেন, নেইমার সম্ভবত তার প্রতি ওঠা অভিযোগ নিয়ে মজা করছেন। তবে নেইমারের এই পোস্টের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার প্রেমিকার বোন বিয়ানকা বিয়ানকার্ডি।

নেইমারকে একহাত নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ওর (নেইমার) মধ্যে মূল্যবোধ ও চরিত্রের ঘাটতি আছে। লজ্জিত না হয়ে সে এ পরিস্থিতি নিয়ে মজা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে হাস্যরস চলছে, যা আমার বোনকে আবারও লজ্জায় ফেলেছে। সে মনে করে বাকিরা তার মানসম্মানের হানি করতে চায়, আসলে সে নিজেই নিজের সম্মানহানি করছে। একটা মানুষ যার মধ্যে পৌরুষের অভাব আছে, পরিণত হতে চায় না এবং কৃতকর্মের জন্য নিজেই দোষ স্বীকার করে।’

গত সপ্তাহে সন্তানসম্ভবা বান্ধবী ব্রুনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেইমার লিখেছিলেন, ‘ব্রুনা, আমি ভুল করেছি। আমি তোমার সাথে ভুল করেছি। বলতে ভয় নেই, আমি প্রতিদিনই ভুল করি—সেটা মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের ভুলগুলো আমি ঘরে বসে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ঠিক করি। আর এ সবকিছুই আমার জীবনে অন্যতম বিশেষ মানুষটির জন্য। আর সেই মানুষটি আমার স্বপ্নের নারী, আমার সন্তানের মা। বিষয়টি তার পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা এখন আমার পরিবারও।’