সত্যি হচ্ছে মাশরাফীর চার বছর আগের ভবিষ্যদ্বাণী?
অভিমান ভেঙে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে, তামিম ইকবাল নামটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন অতীত। হুট করেই আফগানিস্তান সিরিজের মাঝখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন দেশসেরা এই ওপেনার। তামিমের এমন বিদায়ে আলোচনায় চার বছর আগে দেওয়া মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার একটি স্ট্যাটাস।
কদিন ধরেই চোট এবং ফিটনেস ইস্যুতে আলোচনায় ছিলেন তামিম। চোটের কারণে মিস করেছেন আফগানিস্তানের সঙ্গে একমাত্র টেস্ট ম্যাচও। ওয়ানডের আগেও তিনি পুরোপুরি ফিট ছিলেন না। তবুও ম্যাচ খেলব বলায় সমালোচনার শিকার হন তামিম। পরবর্তীতে সেটি নিয়ে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ক্ষোভ এবং তা নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেই সূত্র ধরেই তামিম হুট করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।
আর মাত্র তিন মাস পর ভারতে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তামিমের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ দল এবারের বিশ্বকাপ খেলবে- এতদিন এমন ধারণা থাকলেও এখন সে ধারণা বদলে গেছে তামিমের ঘোষণায়। প্রশ্ন ওঠেছে কে হচ্ছেন ওয়ানডে দলের পরবর্তী অধিনায়ক? কার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিবে?
চার বছর আগেই এই বিষয়ে আভাস দিয়ে রেখেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। বিষয়টি অনেকটা কাকতালীয়। কারণ মাশরাফীর সেই অনুমান যে এখন সত্য হতে পারে। আসন্ন বিশ্বকাপের তার অনুমান করা খেলোয়াড়ের নেতৃত্বেই যে বিশ্বকাপ খেলতে পারে বাংলাদেশ।
সেই খেলোয়াড় আর কেউ নন সাকিব আল হাসান ছাড়া। ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সেসময় সাকিবের এমন শাস্তির বিষয়ে পোস্ট করে মাশরাফী লিখেছিলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছরের সহযোদ্ধার আজকের ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু বিনিদ্র রাত কাটবে আমার। তবে কিছুদিন পর এটা ভেবেও শান্তিতে ঘুমাতে পারব যে, তার নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। কারণ নামটি তো সাকিব আল হাসান...!!!’
তামিমের বিদায়ে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নামই বার বার ওঠে আসছে। কারণ এর আগেও বড় মঞ্চে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে সাকিবের। পাশাপাশি তিনি এখন টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই শেষমেশ তার হাতে অধিনায়কের দায়িত্বে উঠলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।