তামিমের মতো অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন যারা
হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন দেশসেরা এই ব্যাটার। তামিমের মতো বিশ্ব ক্রিকেটে অবসর ভেঙে ফিরে আসার তালিকা বেশ দীর্ঘ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক অবসর ভেঙে ফেরাদের…
শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান) : অবসর ভেঙে বারবার ফিরে আসা ক্রিকেটার হিসেবেই পরিচিত পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি শহীদ আফ্রিদি। প্রথম দফায় ২০০৬ সালে টেস্টকে বিদায় বললেও দুই সপ্তাহ পরই ফিরে আসেন তিনি। এরপর ২০১০ সালে অধিনায়ক হিসেবে একমাত্র টেস্ট খেলেই টেস্টকে চিরতরে গুডবাই বলেন আফ্রিদি। শেষমেশ ২০১১ সালে মে মাসে পিসিবির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন আফ্রিদি। একই বছরের অক্টোবরে আবার অবসর ভেঙে ফেরেন তিনি।
কেভিন পিটারসেন (ইংল্যান্ড) : ২০১১ সালে হঠাৎ করেই সীমিত ওভারের ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন। কারণ হিসেবে জানান, তিনি সাদা পোশাকে বেশি মনোযোগী হতে চান। যদিও এর কয়েক মাস পরেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলান তিনি।
ব্রেন্ডন টেলর (জিম্বাবুয়ে) : ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক কিংবদন্তি ব্রেন্ডন টেলর। এরপর ২০১৭ সালে ফের দলে ফিরেন তিনি।
জাভেদ মিয়াদাঁদ (পাকিস্তান) : পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাঁদও অবসর নিয়ে ফের ফিরে এসেছিলেন। তবে, তিনি ইমরানের মতো কয়েক মাস নেননি, অবসরের মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ফিরে এসেছিলেন।
গ্রান্ট ফ্লাওয়ার (জিম্বাবুয়ে) : ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড হিথ স্ট্রিককে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় সেসময় দলটির বেশ কজন ক্রিকেটার অবসরের হুমকি দেন। তাদের হুমকিতেও স্ট্রিক অধিনায়কত্ব ফিরে না পাওয়ায়, পরবর্তীতে গ্রান্ট ফ্লাওয়ারসহ জিম্বাবুয়ের ১৩ জন ক্রিকেটার অবসর নিয়েছিলেন। তবে, ছয় বছর পর ২০১০ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আবার জাতীয় দলে ফিরেছিলেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার।