হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা বিশাল। জিততে হলে বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হবে ৩৩১ রান। যা পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড অতীতে নেই। তাই জিততে হলে গড়তে হবে রান তাড়ার রেকর্ড। অথচ সেই লক্ষ্য তাড়ায় ইতোমধ্যে ৮ ব্যাটারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এখন হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টায় স্বাগতিকরা।
সাগরিকায় প্রতিপক্ষের রানের জবাব দিতে নেমে দলীয় ১৫ রানে লিটনকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফজল হক ফারুকির বলে নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন লিটন (১৩)। এরপর বিদায় নেন উইকেটে নতুন আসা নাজমুল হোসেন শান্ত ও নাঈম শেখ। একদিকে বড় রানের টার্গেট অন্যদিকে দ্রুত টপ অর্ডার ব্যাটারদের পাশাপাশি মিডলঅর্ডারদের বিদায়—সবমিলিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।
এর আগে আজ শনিবার (৮ জুলাই) তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৩৩১ রান তুলেছে আফগানিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৪৫ রান করেছেন আফগান ওপেনার গুরবাজ। আরেক সেঞ্চুরিয়ান জাদরানও করেছেন ১০০ রান।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করেন দুই ওপেনার গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। নতুন বলে ইনিংস শুরু করা মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম ওভারে এক বাউন্ডারিতে দেন ৪ রান। পরের ওভারে হাসান মাহমুদ দেন ৩ রান। কিন্তু স্বাগতিক বোলারদের সামলে উইকেটে থিতু হয়ে যান অতিথি ওপেনাররা।
শুরুর ১০ ওভারে দুজন মন্থর গতিতেই টানেন আফগানিস্তানকে। ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে তোলেন ৬৬ রান। এরপর বাংলাদেশি বোলারদের পরীক্ষা নেন। তিন পেসার ও দুই স্পিনার মিলে কিছুই ভাঙতে পারছিলেন না আফগানদের প্রতিরোধ।
এর মধ্যেই তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যান গুরবাজ। সাকিব আল হাসানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ঠিক ১০০ বলে কাঙ্ক্ষিত শতকের দেখা পেয়ে যান তিনি। মাত্র ২০ ম্যাচ খেলা গুরবাজের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি।
এর কিছুক্ষণ পর আরেক ওপেনার ৭৫ বলে পা রাখেন পঞ্চাশের ঘরে। দুজনে ভর করে ওয়ানডেতে প্রথমবার দুইশ রানের উদ্বোধনী জুটি দেখে আফগানরা। ১৯৩ বলে আসে গুরবাজ ও জাদরানের দুইশ রানের জুটি।
ছুটতে থাকা এই জুটি শেষ পর্যন্ত থামান সাকিব। ৩৬.১তম ওভারে সাকিবকে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে গিয়ে ফাঁদে পড়েন গুরবাজ। মূলত সাকিবকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে ফেলেন তিনি। এলবির আবেদন তোলে বাংলাদেশ। তাতে সাড়া দেন আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ। ১২৫ বলে ১৪৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলে থামেন তিনি। যা সাজানো ছিল তো ১৩টি বাউন্ডারি ও ৮টি ছক্কায়।
পরের বলেই আরেকটি উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু মুশফিকের হাস্যকর ভুলে সেই সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে অবশ্য ইবাদত এসে স্বস্তি দেন। তুলে নেন আফগানদের দ্বিতীয় উইকেট। ইবাদত হোসেনের শর্ট বলে পুল করে ফাইন লেগ সীমানায় মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইকেটে নতুন আসা রহমত শাহ।
কিছুক্ষণ বাদে অধিনায়ক শাহিদিকে থামান মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারায় আফগানিস্তান। কিন্তু তাতে লাভের লাভ হয়নি। এক প্রান্তে আফগানরা দ্রুত উইকেট হারালেও আরেক প্রান্তে থাকা জাদরান তুলে নেন সেঞ্চুরি। তাতে পাহাড় সমান পুঁজি পেয়ে যায় আফগানিস্তান। সেঞ্চুরিয়ান জাদরান ১১৯ বলে ঠিক ১০০ রান করে থামেন মুস্তাফিজের বলে। এরপর বাকিদের ওপর ভর করে বড় স্কোরের ঠিকানায় পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।