মেসিকে টপকে গিনেস বুকে রোনালদো
পেলে থেকে ম্যারাডোনা, ক্রুয়েফ থেকে জিদান। অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে অনেকের তুলনা হয়েছে। তবে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো এমন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফুটবল ইতিহাসে খুব একটা দেখা যায়নি। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফুটবলে রাজত্ব করছেন এ দুই তারকা। কখনো এগিয়ে যান মেসি, আবার কখনো রোনালদো।
গতকাল শুক্রবার (১৪ জুলাই) ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো ফোর্বসের সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলেটসের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শুধু তাই নয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পক্ষ থেকেও ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের তালিকায় রোনালদোর শীর্ষে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১ মে পর্যন্ত করা এ হিসাবে এক বছরে রোনালদোর আয় ছিল ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। উপার্জনের এই অঙ্ক রোনালদোকে এবার গিনেস বুকেও জায়গা করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে রোনালদোর ১৭তম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এক বছরে মাঠ থেকে রোনালদোর আয় ছিল চার কোটি ৬০ লাখ ডলার এবং মাঠের বাইরে আল নাসর তারকার আয় দেখানো হয় নয় কোটি ডলার, যা সব মিলিয়ে প্রায় ছয় বছর পর রোনালদোকে সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী অ্যাথলেটদের তালিকায় শীর্ষস্থান এনে দেয়।
রেকর্ডস গড়ার পথে রোনালদো পেছনে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসিকে। যদিও ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের মাঝে শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন লিওনেল মেসি। সেসময় তার আয় ছিল ১৩ কোটি ডলার।
রোনালদোর আয় বাড়ার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রায় দ্বিগুণ বেতনে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন রোনালদো। এ ছাড়া নাইকির সঙ্গে চুক্তি এবং তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ড সিআর সেভেন থেকেও বেশ ভালো পরিমাণে আয় করেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
রোনালদো ছাড়া শীর্ষ উপার্জনকারী ১০ খেলোয়াড়দের মধ্যে জায়গা পাওয়া অন্য দুই ফুটবলার হচ্ছেন মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। তালিকায় দুজনেরই অবস্থান অবশ্য যথাক্রমে ২ ও ৩ নম্বরে। এক বছরে মেসির আয় করেছেন ১৩ কোটি ডলার। অন্যদিকে, এমবাপ্পের আয় ছিল ১২ কোটি ডলার।