তাসকিনকে ছাড়পত্র না দেওয়ার কারণ জানাল বিসিবি
নিজেকে কিছুটা দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন পেসার তাসকিন আহমেদ। বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার প্রস্তাব পেয়েও প্রতিবারই এনওসি (অনাপত্তি সনদ) জটিলতায় খেলা হয়নি তার। এবার লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের ক্ষেত্রেও চিত্রটা একই। তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসানরা অনুমতি পেলেও মেলেনি তাসকিনের।
এই প্রসঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান ‘অবশ্যই আমাদের ক্রিকেটের জন্য এটি একটি ইতিবাচক দিক যে, ক্রিকেটাররা বাইরের বিভিন্ন লিগে ডাক পাচ্ছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বোর্ড যেটা করছে, প্রতিটি ক্রিকেটারের ওয়ার্কলোড এবং তাদের প্রিভিয়াস পার্টিসিপেশন ও ফিউচার পার্টিসিপেশন—সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা অনাপত্তিপত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। সেভাবেই আমাদের ক্রিকেটারদের অনাপত্তিপত্র দেওয়া হচ্ছে।’
সুজন আরও বলেন, ‘এর আগে আমাদের একটা পলিসি ছিল যে, বছরে সর্বোচ্চ দুটি লিগে আমরা অনুমতি দেব। কিন্তু, এখন যেভাবে ঘরোয়া লিগ হচ্ছে, এর ফলে লিগের সংখ্যায় না গিয়ে ওয়ার্কলোডটকে বিবেচনায় নিচ্ছি। আন্তর্জাতিক এপিয়ারেন্স, ডোমেস্টিক লিগ খেলার জন্য যে ওয়ার্কলোড দরকার সেসব বিবেচনা করে এবং ফিউচার যে টুর্নামেন্টগুলো আছে, সেগুলোতে অংশগ্রহণও আরেকটি বিবেচনার বিষয়। সবগুলো বিবেচনা করেই আমরা ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছি।’
তাসকিন প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত তাসকিনের বিষয়টা বিবেচনায় আছে। তার যে রিসেন্ট পার্টিসিপেশন ছিল, ওয়ার্কলোড বিবেচনা করে হয়তো এই লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে বিষয়টাকে ভিন্নভাবে চিন্তা করছি। অন্যান্য প্লেয়ার যাদের প্রায় সবাইকেই আমরা ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছি।’
লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি চুক্তিতে গল টাইটান্স দলে নেয় সাকিবকে। তাকে এনওসিও দিয়েছে বিসিবি। তবে, টুর্নামেন্টে সাকিব কত ম্যাচ খেলবে তা জানা যায়নি। প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে দল পান বাংলাদেশের আরেক খেলোয়াড় মোহাম্মদ মিঠুন। জাতীয় দলের বাইরে থাকায় তার এনওসি পাওয়া নিয়ে কোন জটিলতা নেই।