তামিমের ব্যাপারে নেই স্বস্তির খবর
তামিম ইকবালের চোট নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। দীর্ঘদিন ধরে চোট নিয়েই খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে এতদিন খেলে আসলেও সম্প্রতি আফগানিম্তানের বিপক্ষে সিরিজে সেটি যেন আরও প্রকট হয়। বিশ্বকাপের বাকি আছে দুইমাস। তার আগে এশিয়া কাপ। এমন সময়ে ওয়ানডে অধিনায়কের ভাগ্য দুলছে অনিশ্চয়তায়। আরও, অন্তত দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে।
আজ সোমবার (৩১ জুলাই) এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ দলের ফিটনেস ক্যাম্প। আগামী তিন দিন ক্রিকেটারদের বিভিন্ন টেস্ট নেওয়া হবে। ৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে বিসিবির চূড়ান্ত অনুশীলন পর্ব। সেখানে তামিম চাইলেও যোগ দিতে পারবেন না।
গত সপ্তাহে লন্ডনে ছিলেন দেশসেরা ওপেনার। কোমরের চোটের কারণে লন্ডনে মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ টনি হ্যামন্ডের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। গত ২৫ জুলাই সার্বিক অবস্থা জানতে এমআরআই করানো হয় তামিমের। ২৭ জুলাই তার পিঠের নিচের অংশে ইনজেকশন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরও একটি। মোট দুটো ইনজেকশন নিয়ে আজ বিকালে দেশে ফিরেছেন তিনি।
এমআরআই রিপোর্টে তামিমের পিঠে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে এল-ফোর ও এল-ফাইভ টাইপের রোগ ধরা পড়েছে। অস্ত্রোপচারে এটি সেরে উঠবে। তবে, অস্ত্রোপচার করালে তামিমকে অন্তত তিন থেকে চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। যদি তাই হয় তাহলে মিস করতে হবে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ। তাই, এখনই অস্ত্রোপচারের দিকে না গিয়ে দুটো ইনজেকশন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন তিনি।
দেশে ফিরে প্রথম এক সপ্তাহ তামিমকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হবে। পরের এক সপ্তাহ অল্প পরিসরে চলবে ফিটনেস ঠিক করার কাজ। টনি হ্যামন্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তামিমকে নিয়ে কাজ করবেন বিসিবির চিকিৎসক ও ফিজিওরা। বিশ্রামের পর যদি নিজেকে ব্যথামুক্ত ও প্রস্তুত মনে হয় তামিমের, তাহলেই পুরোপুরি অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
এই ইনজেকশনগুলো তামিমকে মোটামুটি তিন-চার মাস পর্যন্ত ফিট রাখতে পারবে। ঝুঁকি একেবারে শেষ হয়নি। যদি অনুশীলনের সময় ফের কোমরে সমস্যা অনুভূত হয় তামিমের, দেরি না করে বন্ধ করতে হবে অনুশীলন। প্রয়োজন হতে পারে আরও একটি ইনজেকশনের। তামিমকে নিয়ে তাই অনিশ্চয়তা একেবারে কাটছে না। দুই সপ্তাহ পর কিছুটা নিশ্চিত হওয়া যাবে পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে।
এদিকে আজ তামিমকে নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন, ‘দেখুন আমি মেডিকেল এক্সপার্ট না। তামিমের রিপোর্টটা পড়ে দেখা হয়নি। তাই, সরাসরি কিছু বলতে পারব না। একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় হিসেবে বলতে পারি, নিয়মিত কোনো খেলোয়াড় যখন চোটে পড়েন; এটা থেকে ফিরে আসার প্রক্রিয়া কখনও কঠিন হয়, কখনও সহজ। তামিম আমাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। তাকে বোর্ড মানসিকভাবে ও সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সহায়তা করছে। যাতে সে খুব দ্রুতই সম্পূর্ণ ফিট হয়ে ফিরতে পারে।’