এগিয়ে আসছে এশিয়া কাপ, অনুশীলনে ক্রিকেটাররা
ব্যাট-প্যাড নিয়ে মুশফিকুর রহিম ক্রিজে অবস্থান ঠিক করছেন। একটু পর আফিফ হোসেন চেষ্টা করছেন সুইপ করতে। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদরা গতির গোলা ছুঁড়ছেন; তো নাসুম আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ পরামর্শ করছেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে। আবার দেখা গেল, সবাই একসঙ্গে দাঁড়িয়ে মনোযোগী ছাত্রের মতো কথা শুনছে একজনের। তিনি হেডমাস্টারের ভূমিকায় থাকা প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ দলের রোজকার চিত্র এটি। এশিয়া কাপকে সামনে রেখে মিরপুর শেরেবাংলায় চলছে দলের অনুশীলন ক্যাম্প। কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টকে ঘিরে এমন প্রস্তুতি হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই বলতে পারেন, এ আর এমন কী? কিন্তু, এবারের অনুশীলন অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব রাখছে।
৩০ আগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর শেষে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ। এরপর ৫ অক্টোবর থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দুটো মেগা আসরের আগে বেশ অনেকটা সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটাররা যে যার জায়গা থেকে তাই ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের। যার যার বিভাগের কোচের সঙ্গে করছেন পরামর্শ, জেনে নিচ্ছেন নিজেদের ভুলগুলো। কাজ করছেন সেসব নিয়ে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটের গ্রাফ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। সেটি আরও ঊর্ধমুখী করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব সুবিধা পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। বছরের শুরু থেকেই বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়, নির্বাচকরা আত্মবিশ্বাসী এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু হবে।
ভালো কিছু করতে প্রয়োজন মানসিকতার উন্নয়ন। কারণ, ক্রিকেট মাঠে আত্মবিশ্বাস ও শরীরী ভাষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বড় ম্যাচের বড় মুহূর্তগুলোতে মনোসংযোগ ধরে রাখা খুব জরুরি। বিসিবি বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। নিয়মিত ফিটনেস ক্যাম্প, মাঠের অনুশীলন ছাড়াও খেলোয়াড়রা সেশন করছেন মনোবিদের সঙ্গে।
মিরপুর শেরেবাংলায় মনোবিদ ডা. ফিল জন্সির কাছে খেলার মাঠে ভালো করার বিষয়ে নিয়মিত সেশন নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ডা. জন্সি বিসিবিতে পারফরম্যান্স সাইকোলজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। ক্রিকেটারদের খেলার মান উন্নয়নে মানসিকভাবে তাদের প্রস্তুত করার দায়িত্বটা তার ওপর।