মেসি নন, উয়েফার বর্ষসেরা হালান্ড
লিওনেল মেসি, কেভিন ডি ব্রুইনা নাকি আর্লিং হালান্ড—কে হবেন উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলার? এই প্রশ্ন গত কদিন ধরেই ছিল ভক্তদের মনে। অনেকেই এই পুরস্কারের দৌড়ে মেসিকেই এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু মেসি নন উয়েফার বর্ষসেরা হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আর্লিং হালান্ড।
মোনাকোর গ্রিমালদি ফোরামে আলো ঝলমলে রাতে ইউরোপসেরার পুরস্কার উঠেছে নরওয়ের এই ফুটবলারের হাতে। নরওয়ের প্রথম ফুটবলার হিসাবে এই সম্মাননা পেলেন হালান্ড।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোনাকোতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই হয় উয়েফা বর্ষসেরা পুরস্কারের অনুষ্ঠান। তাতে মেসি ও ডি ব্রুইনাকে ছাপিয়ে সেরার তকমা জোটে হালান্ডের।
নারী বিভাগে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি। এ বছর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বিশ্বকাপ জিতে এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
ইউরোপসেরা হয়ে হালান্ড বলেছেন, ‘উয়েফা বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড় হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। ইউরোপজুড়ে অসাধারণ প্রতিভার ছড়াছড়ি, তাঁদের যে কেউ এটা জিততে পারতেন। যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) পিএফএর বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটাও উঠল হালান্ডের হাতেই। ইংল্যান্ডের প্রফেশনাল ফুটবলার’স অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) এই পুরস্কারটার বেশ মর্যাদার ইংলিশ লিগে খেলা ফুটবলারদের কাছে। এবার ছিল এই পুরস্কার প্রদানের ৫০তম বছর। বিশেষ উপলক্ষের রাতটা হয়ে রইল হালান্ডময়।
গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে ম্যানসিটি। ১৯৯৯ সালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর দ্বিতীয় কোনো ইংলিশ ক্লাব হিসেবে এই ট্রেবল জিতেছে সিটি। সেখানে হালান্ডের অবদান ৫৩ ম্যাচে ৫২ গোল। প্রিমিয়ার লিগে ৩৫ ম্যাচে ৩৬ গোল করে হয়েছেন লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। পাশাপাশি আট গোলে সহায়তা। এফএ কাপ জয়ে অবদান রেখেছেন চার ম্যাচে তিন গোল করে।
এ ছাড়া, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১১ ম্যাচে ১২ গোল করে সবার শীর্ষে। সবমিলিয়ে, গত মৌসুমে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনিই।