পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল ভারত
২২ গজে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ এখন আর নিয়ম মেনে হয় না। অথচ উপমহাদেশের দুই দেশের লড়াই মানেই ক্রিকেট প্রেমীদের হটকেক। এশিয়া কাপে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে ফের একবার মুখোমুখি হয়েছে এই দুদল। যেখানে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত।
আজ শনিবার (২ সেপ্টম্বর) পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪৮.৫ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৬৬ রান তুলেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া।
টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু আগে ব্যাট করার সুবিধা মোটেই কাজে আসেনি তাদের। ইনিংসের শুরুতেই ভারতের টপ অর্ডার কাঁপিয়ে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
প্রথম ফাঁদে ফেলেন অধিনায়ক রোহিতকেই। পঞ্চম ওভারে আফ্রিদির করা ইন-সুইংয়ে বলের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন রোহিত। ভারতীয় তারকার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল গিয়ে আঘাত করে স্টাম্পে। ১১ রানেই বোল্ড রোহিত।
আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার বিরাট কোহলি। তিনিও ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরের বল মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে কোহলি সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৪ রানে।
আফ্রিদির পর উইকেট উৎসবে যোগ দেন হারিস রউফ। পরের দুটি উকেট শিকার করে নেন তিনি। একটি শ্রেয়াস আইয়ার অন্যটি শুভমান গিলের উইকেট। রউফের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শ্রেয়াস (১৪)। এরপর রউফের বলেই ইনসাইড এজ্ড হয়ে বোল্ড হন গিল (১০)।
৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় ভারত। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ঈষান কিষান। এই জুটিতে ম্যাচে ফেরে ভারত। দুজন মিলে ভারতকে টানেন ৩৭ ওভার পর্যন্ত। ৮২ বলে ৮১ রান করা কিষানকে ফিরিয়ে শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন পেসার রউফ।
এরপর রবীন্দ্র জাদেজা-হার্দিক পান্ডিয়ারা বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। সবমিলিয়ে ১০ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৬৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি রোহিত শর্মার দল। বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি সর্বোচ্চ ৪টি ও হারিস রউফ ও নাসিম শাহ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ (রোহিত ১১, কোহলি ৪, গিল ১০, শ্রেয়াস ১৪, পান্ডিয়া ৮৭, ইষান ৮২, জাদেজা ১৪, শার্দুল ৩, কুলদিপ ৪, বুমরাহ ১৬, সিরাজ ১* ; আফ্রিদি ১০-২-৩৫-৪, রউফ ৯-০-৫৮-৩, নাসিম ৮.৫-০-৩৬-৩, শাদাব ৯-০-৫৭-০, নাওয়াজ ৮-০-৫৫-০, সালমান ৪-০-২১-০)।